করোনা যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দেশ তথা রাজ্যের চিকিৎসকেরা। করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতিতেও কিন্তু নিজেদের কাজ বন্ধ রাখেননি কোভিড-যোদ্ধারা। বরং নিজেদের কাজ নিষ্ঠা ভরে সামলে যাচ্ছেন তাঁরা। করোনা যুদ্ধে সামিল হয়ে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখার সময়টুকুও পাচ্ছেন না। না দিতে পারছেন নিজের পরিবারকে একটু সময়। নিজেদের শত অসুবিধাকে তুচ্ছ করেই মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। চালিয়ে যাচ্ছেন লড়াই। করোনা যুদ্ধের এই কঠিন পরিস্থিতি শক্ত হাতে সামলানোর জন্য এবার কোভিড যোদ্ধাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১ জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন করোনা যোদ্ধারা। তাঁদের অবদান অপরিসীম। তাঁদের সম্মান জানাতেই রাজ্যে ১ জুলাই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে দেশে প্রথমবার চিকিৎসক দিবস হিসেবে ১ জুলাই দিনটিকে ঘোষিত করা হয়। ১ জুলাই হল পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী তথা বিখ্যাত চিকিৎসক ড. বিধানচন্দ্র রায় জন্মদিন। তাঁকে সম্মান জানাতেই এই দিনটিকে জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এবার রাজ্যের সকল কোভিড যোদ্ধা সমস্ত চিকিৎসকদের সম্মান জানাতেই ওই দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত রবিবার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশের চিকিৎসকদের অবদানকে সম্মান জানান। অতিমারীর মধ্যেও যেভাবে মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা, সেই প্রচেষ্টাকেই প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পথেই হেঁটে রাজ্যে ওই দিন সরকারিভাবে ছুটির দিন পালিত হবে। উল্লেখ্য এর আগে পুলিশকর্মীদের সম্মানেও 'পুলিশ দিবস' ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।