শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

'মেয়ে হয়েছে'! ঘরে লক্ষ্মী আসার খুশিতে ৫০ হাজার টাকার ফুচকা ফ্রি-তে খাইয়ে ‘সেলিব্রেশন’ বাবার

০৮:০৬ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

'মেয়ে হয়েছে'! ঘরে লক্ষ্মী আসার খুশিতে ৫০ হাজার টাকার ফুচকা ফ্রি-তে খাইয়ে ‘সেলিব্রেশন’ বাবার

মেয়ে হয়েছে। এই আনন্দে জনসাধারণকে ফ্রি-তে ফুচকা বিলি করলেন মধ্যপ্রদেশের এক ফুচকা বিক্রেতা। পাশাপাশি সমাজের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, 'বেটি হ্যায়, কাল হ্যায়!' অর্থাৎ মেয়ে হয়েছে তাই ভবিষ্যৎ গড়াও সম্ভব। এই খবর চাউর হতেই ফুচকা বিক্রেতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদও জানিয়েছেন প্রত্যেকে।

জানা গিয়েছে, আঁচল গুপ্তা নামে ৩০ বছর বয়সী এই যুবক মধ্যপ্রদেশের কোলার অঞ্চলে ফুচকা বিক্রি করেন। ছোট্ট বয়স থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে ফুচকা বিক্রি করেই সংসার চলে তাঁর। আঁচলের অপর দুই ভাই ইঞ্জিনিয়ার। তবে তিনি যদি অষ্টম শ্রেণীর গণ্ডী পেরোননি। বাড়িতে আঁচলের গ্রাজুয়েট স্ত্রী রয়েছেন। সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় তিনি সেলাইয়ের দোকান খুলতে আগ্রহী। সেই স্ত্রীই গত ১৭ অগাস্ট কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সেই আনন্দে সাধারণ এক ফুচকা বিক্রেতা হয়েও আঁচল প্রায় ৫০ হাজার টাকার ফুচকা বিনামুল্যে খাওয়ান সকলকে।

[caption id="attachment_33542" align="alignnone" width="1280"]'মেয়ে হয়েছে'! ঘরে লক্ষ্মী আসার খুশিতে ৫০ হাজার টাকার ফুচকা ফ্রি-তে খাইয়ে ‘সেলিব্রেশন’ বাবার / প্রতীকী ছবি 'মেয়ে হয়েছে'! ঘরে লক্ষ্মী আসার খুশিতে ৫০ হাজার টাকার ফুচকা ফ্রি-তে খাইয়ে ‘সেলিব্রেশন’ বাবার / প্রতীকী ছবি [/caption]

এই প্রসঙ্গে ওই ফুচকা বিক্রেতা জানান, "বিয়ের পর থেকেই আমি কন্যাসন্তান চাইতাম। কিন্তু বছর দুয়েক আগে আমাদের এক পুত্র সন্তান হয়। অবশেষে গত মাসে আমার কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।।আমি এ জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।" তিনি আরও বলেন, "মেয়ে হওয়াতে আমি প্রচণ্ড খুশি। একদিন আগেই আমার প্রথম সন্তানের দ্বিতীয় জন্মদিন ছিল। আমি 'বেটি হ্যায়, কাল হ্যায়' এই বার্তা দিয়ে ভোপালের মানুষকে বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ানোর মাধ্যমে এই আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছি।"

এদিন বিকেল থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ আঁচলের স্টলের সামনে ভীড় জমাতে শুরু করেন। রাত যত বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে লোকের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। সমস্ত করোনা বিধি মেনেই তিনি সবাইকে বিনামূল্যে ফুচকা খাওয়ান। এভাবে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ফুচকা তিনি খাইয়ে দেন। আঁচলের কথায়, ‘কন্যা সন্তান হওয়ার আনন্দের কাছে এই মুল্য যৎসামান্য’। আর তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফুচকা খেতে আসা সকল মানুষ। কন্যা সন্তানের জন্য অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন সকলে। প্রসঙ্গত, এ কথা বলা যেতেই পারে, সমাজে পুরুষ এবং নারীর মধ্যে বৈষম্যমুলক আচরণের বিরুদ্ধে এই ফুচকা বিক্রেতার এই উদ্যোগ যেন নয়া এক নজির গড়ে তুলল।