শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নন্দীগ্রাম মামলা সরানোর আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী!

০৮:৩৭ পিএম, জুলাই ১৪, ২০২১

কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নন্দীগ্রাম মামলা সরানোর আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী!

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এবার সেই মামলার শুনানি হতে চলেছে বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে। তবে সেই মামলাই এবার হাইকোর্ট থেকে সরানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম মামলা হাইকোর্ট থেকে সরাতে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে থাকা বিচারপতি কৌশিক চন্দের একটি ছবি নিয়েই ডেরেক প্রশ্ন তুলেছিলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি কি তবে বিজেপি ঘনিষ্ঠ?

হাইকোর্টের বিচারপতি বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি থেকে তাঁকে সরানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জিও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কৌশিক চন্দের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়৷ যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তবে বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করার অভিযোগে মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছিলেন।

তারপর থেকে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের কাছেই জমা পড়ে ছিল মামলাটি। তবে সোমবার বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে মামলাটি তুলে দেন প্রধান বিচারপতি। বুধবার নন্দীগ্রাম মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, নন্দীগ্রামের ভোটের ইভিএম, ভিভিপ্যাট, গণনাকেন্দ্রের ভিডিওগ্রাফি-সহ যাবতীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করে রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

তবে এরপরই সুপ্রিম কোর্টে কাছে মামলার বিবাদীপক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি, মামলাটি যেন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে দেশের অন্য কোনও হাইকোর্টে সরানো হয়৷ এই প্রসঙ্গে মামলার পূর্ববর্তী বিচারপতি কৌশিক চন্দের রায়েরও উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। এখন এই মামলার জল কতদূর গড়ায় তাই দেখার।