শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী’! দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের বিস্ফোরক তথাগত

১২:১৩ পিএম, নভেম্বর ১৮, ২০২১

‘পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী’! দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের বিস্ফোরক তথাগত

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তথাগত রায় মানেই বিতর্ক। বিতর্ককে সঙ্গে করেই চলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে চলেছেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির পাশাপাশি একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে আবারও খবরের শিরোনামে তথাগত রায়। বারবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিড়ম্বনা বাড়িয়েই চলেছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। এমনটাই বলছেন শুভানুধ্যায়ীরা। এবার টুইটে তাঁদেরই পাল্টা জবাব দিলেন তথাগত। তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপির শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে করা উচিত। আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে। বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।’

https://twitter.com/tathagata2/status/1461176876655734784

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে আসন সংখ্যা ৩ থেকে বেড়ে ৭৭ হলেও, প্রত্যাশিত ফল হয়নি বিজেপির। বাংলা জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে পদ্ম শিবিরের কাছে। তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বহু নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে ফের তাঁরা পুরনো দলে ফিরছেন। আবার অন্যদিকে, বঙ্গ বিজেপিতে সেভাবে গুরুত্ব পাননি বর্ষীয়ান বিজেপি তথাগত রায়। তাই ভোটের ফল খারাপ হওয়ার পর থেকেই স্বাভাবিকভাবেই এবার তাঁর নিশানায় দলের রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি শীর্ষ নেতাদের একাংশ।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর তাঁর একটি টুইট ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। টুইটে তথাগত রায় লিখেছিলেন, ‘৩ থেকে ৭৭ (এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা– এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।’