শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি চেয়ে এবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে ঘাসফুল শিবির! শুনানির সম্ভাবনা আজই

০১:৩০ পিএম, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১

অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি চেয়ে এবার ত্রিপুরা হাইকোর্টে ঘাসফুল শিবির! শুনানির সম্ভাবনা আজই

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর, এরপর তাতেও অনুমতি না মেলায় ফের দিন পরিবর্তন করা হয়। তাতেও এখনও মেলেনি সায়। বারবার ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদযাত্রার অনুমতি চেয়ে ত্রিপুরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হলেও, বারবার তা বাতিল করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ঘাসফুল শিবিরের আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। সোমবার অর্থাৎ আজই শুনানি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

প্রথম দু’বার অর্থাৎ ১৫ এবং ১৬ সেপ্টেম্বরে পদযাত্রার অনুমতি চেয়ে ধাক্কা খাওয়ার পরে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বরে আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২২ সেপ্টেম্বরে ফের পদযাত্রার দিন ঘোষণা করে ত্রিপুরা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও সেই পদযাত্রার অনুমতি মেলেনি। সেই জন্যই এবার কার্যত বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হল হল তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূলের অভিযোগ, প্রথমে, ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে আগরতলায় পদযাত্রা করার কথা ছিল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই পদযাত্রায় তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের পাশাপাশি শিল্প, ক্রীড়া, সংস্কৃতি জগতের বহু মানুষ অংশ নেবেন বলেও জানানো হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই পদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে ত্রিপুরা পুলিশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ওই একই দিনে একই রুটে, একই সময়ে অন্য একটি দলের কর্মসূচি রয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারির সুরে এও বলা হয়েছে যে, এই নির্দেশ অমান্য করলে, কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কর্মসূচি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেই আবেদনও প্রত্যাখ্যান করে ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁদের তরফ থেকে এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল যে, ‘১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। ফলে আইনশৃঙ্খলার কারণে অমুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।’ এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরা পশ্চিমের এসপি মানিক দাস জানিয়েছিলেন, ‘১৭ তারিখ বিশ্বকর্মা পুজো। তবে, ১৬ তারিখ থেকেই ত্রিপুরায় পুজো শুরু হয়ে যায়। ধুমধাম করেই প্রায় প্রতিটা মোড়েই পুজো হয় এখানে। পুলিশকর্মী-সহ অনেকেই পুজোয় শামিল হন। ফলে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন থাকে। তাই ১৬ তারিখ তৃণমূল কর্মসূচির পরিকল্পনা করলে নিরাপত্তার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কথা ভেবেই অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ তবে, বারবার এভাবে তৃণমূলের কর্মসূচি বাতিল হওয়ায়, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে। এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণও করে তৃণমূল কংগ্রেস।

এরপরই ত্রিপুরা পুলিশকে দুটি চিঠি টুইট করে বিপ্লব দেবের সরকারকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাতে লিখেছিলেন যে, ‘মৃত্যুভয় চেপে ধরেছে বিজেপিকে। সর্বশক্তি দিয়ে আমাকে ত্রিপুরায় ঢুকতে বাধা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিপ্লব দেব। চেষ্টা চালিয়ে যান, তবে আটকাতে পারবেন না। আপনার ভয় বলে দিচ্ছে প্রশাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। সত্য প্রকাশ পাবেই।' এরপরেই তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লগা!’ এরপর ফের ২২ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার দিন ঠিক করা হয় ঘাসফুল শিবির থেকে। যার অনুমতি এখনও মেলেনি বলেই খবর।

https://twitter.com/abhishekaitc/status/1437432256260292613

পরপর এভাবে বাধাদানের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা প্রশাসন এবং রাজ্যের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব রয়েছেন কুণাল ঘোষ। এর আগেও যখন দু’বার পদযাত্রার দিন বালিত করা হয়, তখনও তিনি টুইটে বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এবারেও তার অন্যথা হল না।

টুইটে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আবার বাধার চক্রান্ত। ওরা হামলায় বীর। মামলায় বীর। রাজনীতিতে দেউলিয়া কাপুরুষ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার ভয়ে কত কী! ১৫/৯ রেল ধর্মঘট ডাকল। আমরা মিছিল করিনি। ওরা তুলে নিল। এবার আবার। কোর্টে দেখা হবে। রাজপথেও। আর হ্যাঁ, নোটিসের ১০ দিন লাগছে না। ৪ দিনের মাথায় কাল খোয়াই থানা যাব।’

https://twitter.com/KunalGhoshAgain/status/1439816922808291331