শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘আমাদের কর্মীরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, ত্রিপুরা এর জবাব দেবে’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

০৩:৩৮ পিএম, নভেম্বর ২২, ২০২১

‘আমাদের কর্মীরা যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, ত্রিপুরা এর জবাব দেবে’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চারদিনের সফরে দিল্লি উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারির তীব্র নিন্দা করলেন তিনি। মমতার কথায়, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ছে। অত্যাচারের পর অত্যাচার চলছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে ভোট হয় না।’ একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘এখন মানবাধিকার কমিশন কোথায় গেল?’

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষেই ত্রিপুরায় রয়েছে পুরোভোট। তাঁর আগেই বিজেপি এবং তৃণমূলের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও গ্রেফতারির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই কথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এর পাশাপাশি এদিন তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় বারবার তৃণমূল কংগ্রেস আক্রান্ত হচ্ছে। সায়নীর মতো শিল্পীকেও ছাড়ল না। থানাতেও হামলা চালিয়েছে বিজেপি। আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।’

অন্যদিকে, এদিন নয়া দিল্লিতে জোড়াফুল শিবিরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা নজিরবিহীন প্রতিবাদে সামিল হন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতরের সামনে মাদুর পেতে ধর্নায় বসেন সুখেন্দুশেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সৌগত রায়, শান্তনু সেনরা, অপরূপা পোদ্দার, দোলা সেন, মালা রায়-সহ ১৮ জন সাংসদ।

বিপ্লব দেব শাসিত ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা, যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কর্মসূচী করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, আর এই সব অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু সেই অনুমতি না পেয়ে, স্বরাষ্ট্র দফতরের সামনেই ধর্নায় বসেরন তৃণমূলের ১৮ জন সাংসদ। এদিন কেন্দ্রে বিজেপি সকারের পাশাপাশি ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকাররে সমালোচনায় সরব হন সাংসদরা। জানা গিয়েছে, দিল্লি পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে, দেখা করলেও, তিনি নিজে ধর্নায় বসবেন না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেভ। তিনি জানিয়েছেন, ‘কাল রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ধরনা দেবেন বলেছিলেন সাংসদেরা। আমি বারন করেছি। কারোর বাড়ির সামনে যাওয়ার দরকার নেই। আমি গিয়ে আজ দেখা করব ওদের সঙ্গে।’

এবারের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেই সাক্ষাতে রাজ্যে বিএসএফ- এর ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে সরব হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বিএসএফ আমাদের বন্ধু। কিন্তু গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট করে রাজ্যে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না। বিএসএফ তো বিজেপি সেফ হয়ে যাচ্ছে।’