মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ত্রিপুরায় প্রচার শুরুর পথে তৃণমূল! প্রচারে কী কী বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

১০:১৯ এএম, আগস্ট ১, ২০২১

ত্রিপুরায় প্রচার শুরুর পথে তৃণমূল! প্রচারে কী কী বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ত্রিপুরায় প্রচার শুরুর পথে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার যুব সমাজের মন বুঝতে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই ময়দানে নেমে পড়লেন দেবাংশু, জয়া, সুদীপরা। ত্রিপুরার আগরতলা স্টেশনে তৃণমূল কংগ্রেসের এই তিনজনকে দেখে, যেভাবে খেলা হবে গান বেজেছে, তাতে একটা বিষয় খুব পরিষ্কার যে, ত্রিপুরার ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মহিলাদের পাশাপাশি যুবসমাজকে টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিজেপির বিরুদ্ধে যুবসমাজের মূল চাহিদাগুলিকেই হাতিয়ার করে লক্ষ্য জয়ের দিকে এগোতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাহিনী।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সরকার গঠনের পরে, বিপ্লব দেবের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাজ্যে শিল্প আসবে। কিন্তু সরকার গঠনের পর তিন বছর পার করলেও, এখনও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। ত্রিপুরার যুবসমাজের পক্ষ থেকে তেমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে রাজ্যের পরিকাঠামোর উন্নয়নে রাজ্যে যে কোনও কাজই হয়নি, তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের। আর এই ক্ষোভকেই হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের হাতিয়ার একটি বা দুটি নয়, অনেকগুলি। শিল্প নেই, কর্মসংস্থান নেই, উচ্চ-শিক্ষার জন্যও বাইরে যেতে হয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রায় বন্ধ। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় ক্ষতির সম্মুখীন রাবার এবং চা চাষ।

বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় শিল্প আনার কথা বললেও, তা হয়নি। আর শিল্প না আসলে, বেকার সমস্যাও স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকবে। এর সঙ্গে সে রাজ্যের অনেকেরই অভিযোগ, ব্যবসায় সরকারি সাহায্যেরও দেখা মেলে না। উচ্চ-শিক্ষার জন্য শিলং নতুবা কলকাতায় যেতে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। এখনও সেখানে কোনও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। আবার সরকারি চাকরিতে নিয়োগও বন্ধ। উল্টে ১০১২৩ জন শিক্ষক ছাঁটাই হয়েছে সে রাজ্যে। প্রতি বছর যে পরিমাণে অবসর গ্রহণ হচ্ছে, সেই পরিমাণ লোক নিয়োগ হচ্ছে না। আর এই সব না-পাওয়াকেই হাতিয়ার করে, ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।