শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

তবে কি ভাঙন! কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী বৈঠকে উপস্থিত থাকবে না তৃণমূল, একই সিদ্ধান্ত সপা-আপ!

১০:০৬ এএম, নভেম্বর ২৮, ২০২১

তবে কি ভাঙন! কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী বৈঠকে উপস্থিত থাকবে না তৃণমূল, একই সিদ্ধান্ত সপা-আপ!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফাটল আরও স্পষ্ট হচ্ছে।  সংসদের অন্দরে মতভেদ বা বিরোধ থাকলেও, সংসদের বাইরে এতদিন পর্যন্ত বিজেপিকে হঠাতে সমন্বয় রেখেই চলছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে। এবার দিল্লি সফরে গিয়েও, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ক্রমাগত কংগ্রেস থেকে বিধায়ক ভাঙাচ্ছে তৃণমূল। সম্প্রতি মেঘালয়ের কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।  কাজেই গান্ধী তথা কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সূত্রে খবর, শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধীদের নিয়ে ডাকা কংগ্রেসের বৈঠকে অংশ নেবে না ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, গোয়ার তৃণমূল নেতৃত্বই নাকি আপত্তি করেছে। তাঁদের যুক্তি, রাজ্যে বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দল। এই আবহে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে থাকা উচিত হবে না। যদিও সূত্রের েও খবর যে, কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে না থাকলেও, অধিবেশন কক্ষে তৃণমূল হাত শিবিরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই চলবে।

রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসে ভাঙন ধরালেও তৃণমূলের সঙ্গে মিলেমিশে চলতে আপত্তি নেই। এদিকে, তৃণমূলের দেখাদেখি ইউপিএ বহির্ভূত আম আদমি পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির মতো একাধিক দল বৈঠকে গরহাজির থাকতে পারে বলেও সূত্রের খবর। ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব সূত্রে খবর, অধিবেশন কক্ষে বিরোধী সাংসদরা সমন্বয় করেই চলবেন। কিন্তু সকালের বৈঠকে হাজির থাকাটা বেশ কঠিন।

প্রসংত উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে আটকানোর পর, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক উভয়েই প্রতিটি সভায় খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, কংগ্রেসের একার দ্বারা বিজেপিকে রোখা সম্ভব নয়। তৃণমূলই বিকল্প। এর মধ্যেই ত্রিপুরা, গোয়ায় সংগঠন বিস্তার করতে শুরু করেছে তৃণমূল। এই আবহে মেঘালয়ে ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১২ জনকে ভাঙিয়ে বিরোধী দল হয়েছে তারা। গোয়াতেও কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভরসা রেখেছেন মমতার নেতৃত্বে। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, একের পর এক ভোটে হেরে, নেতৃত্ব প্রশ্নে রাহুলের ভূমিকা। আর এই কারণে বিরোধী হিসেবে কংগ্রেস ছাপ ফেলতে পারছে না। সেই জায়গা দখল করতে চাইছে তৃণমূল। এই পথে মমতার বিজেপি বিরোধী আগ্রাসী মনোভাবই তাদের প্রধান হাতিয়ার।