বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

দু'জায়গার ভোটার তালিকায় নাম! শুভেন্দুর ভোটাধিকার বাতিলের দাবিতে কমিশনে তৃণমূল

০৬:২৯ পিএম, মার্চ ১৭, ২০২১

দু'জায়গার ভোটার তালিকায় নাম! শুভেন্দুর ভোটাধিকার বাতিলের দাবিতে কমিশনে তৃণমূল

বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ রাজ্যের দৌড়গোড়ায় ২০২১ এর বিধানসভা ভোট। রাজ্যের শাসক দলে কে আধিপত্ত বিস্তার করবে তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক বিরোধ। রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের অবস্থান পাকাপক্ত করতে আসরে নেমে পড়েছে। তারসাথে গেরুয়া শিবিরও কয়েক দফায় প্রকাশ করেছে তাদের প্রার্থী তালিকা। আর প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী এবার নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির হয়ে লড়বেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল!

প্রসঙ্গত দুটি অঞ্চলে দুটি বুথে ভোটদাতা হয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমন অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশনকে চিঠিতে রাজ্যের শাসকদল জানিয়েছে, একাধারে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়া দুই কেন্দ্রে ভোটার হয়ে রয়েছেন শুভেন্দু। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী একজন ব্যক্তি দেশের যে কোনও একটি স্থানের ভোটার হতে পারে, কিন্তু শুভেন্দু বাবু দুটি কেন্দ্রের ভোটার হয়ে আছেন। কিছুদিন আগেই শুভেন্দু বাবু নন্দীগ্রামের ভোটার হিসেবে নিজের নাম তোলেন। কিন্তু তৃণমূলের দাবি হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রামে ভোটার তোলার সময় বিএলও-এর পর্যবেক্ষণের সময় এলাকায় ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। এরই সঙ্গে হলদিয়াতেও এখনও ভোটার হিসেবে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে বিজেপি নেতার।

আর এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ওই এলাকার ভোটার হিসেবে নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল।উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে 'ভুল' তথ্য দিয়ে প্রার্থী পদ বাতিলের দাবিতে কমিশনে অভিযোগ জানান শুভেন্দু। তিনি জানান, মমতার নামে ৬ টি ফৌজিদারি মামলা রয়েছে সিবিআইয়ের, সেগুলি গোপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে সিবিআই জানায় ওই মমতা আসানসোলের এক সরকারি আধিকারিকের স্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। আর এই ঘটনার পর এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল।

উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন। আগামী ২৭ মার্চ থেকেই বাংলার শুরু হবে নির্বাচন। কে হবে বাংলার শাসক? কে হাসবে শেষ হাসি তা শুধুমাত্র নির্বাচনের ফলাফলই বলবে। শেষমেশ কে বাংলার শাসকের স্থান দখল করবে তা দেখার জন্য অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল সহ জনগন।