শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সন্তানলাভ করতে হলে একমাত্র উপায় ‘নরবলি’! তান্ত্রিকের নির্দেশের জেরে খুন দুই যৌনকর্মী

০৯:১৩ পিএম, অক্টোবর ২৪, ২০২১

সন্তানলাভ করতে হলে একমাত্র উপায় ‘নরবলি’! তান্ত্রিকের নির্দেশের জেরে খুন দুই যৌনকর্মী

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও দাম্পত্যে কাঁটার মতো বিঁধছিল সন্তানহীনতার কষ্ট। আর সেই কষ্ট এবং যন্ত্রণার থেকে মুক্তি পেতে তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হতেই, তান্ত্রিক নিদান দিয়েছিলেন, সন্তান পেতে হলে, একমাত্র উপায় ‘নরবলি’। তান্ত্রিকের সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার ফল স্বরূপ খুন হতে হল দুই যৌনকর্মীকে। যদিও পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তদের। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আসল ঘটনা জানতে পেরেছে পুলিশ আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, গত ২১ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে পুলিশ একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেই মৃতদেহটি ছিল এক যৌনকর্মীর। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে নীরজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করা হলে, তিনি নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন। জানায় যে, সেই ওই যৌনকর্মীকে খুন করেছেন। এরপরই আসল ঘটনা জানা যায়।

তদন্তে জানা যায় যে, নীরজের বন্দু বানটু ভাদুরিয়া এবং তাঁর স্ত্রী মমতা দীর্ঘদিন ধরেই সন্তান চাইছিলেন। ১৮ বছরের দাম্পত্যের পরেও তাঁদের বানটু ভাদুরিয়ার স্ত্রী মমতা সন্তান ধারণ করতে পারছিলেন না। এর জেরে তাঁরা সন্তান লাভে কার্যত মরিয়া হয়ে ওঠেন। এই পরিস্থিতিতে নীরজই তাঁদের পরিচিত এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যান। ওই তান্ত্রিকই জানান, যদি তাঁরা নরবলি দিতে পারেন, তাহলে সন্তান আসবে তাঁদের জীবনে।

তান্ত্রিকের কথা শুনে এরপর নীরজই এগিয়ে আসেন বন্ধুর সমস্যার সমাধান করতে। তিনি এক যৌনকর্মীর কাছে যান। প্রথমে তাঁকে ১০ হাজার টাকা দেন। পরে ওই যৌনকর্মীর সঙ্গে যৌনতাও করেন তিনি। যৌন মিলনের পরেই তিনি ওই যৌনকর্মীকে গলা টিপে খুন করেন। খুন করার পর মৃতদেহটি বাইকে চাপিয়ে রওনা দেন তান্ত্রিকের বাড়ির উদ্দেশে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁর বাইক উলটে যায়। এরপরই ভয় পেয়ে নীরজ মৃতদেহটি সেখানে ফেলে রেখেই পালিয়ে যান। পরে সেই দেহই উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশি জেরায় নীরজ আরও জানিয়েছেন যে, এর আগেও তিনি আরও একটি খুন করেছেন। গত ১৪ অক্টোবর আরও এক যৌনকর্মীকে খুন করেছিলেন তিনি। কিন্তু যেহেতু ওই যৌনকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তাই সেই দেহটি ‘বলি’ হিসেবে গ্রহণ করা যায়নি। তাই দ্বিতীয় বলি।

এদিকে গোটা ঘটনায় হতবাক তদন্তকারীরা। এই খুনের ঘটনায় তান্ত্রিক, নীরজ ও দম্পতি ছাড়াও পুলিশ গ্রেফতার করেছে মমতার বোনকেও। এই নারকীয় চক্রান্তের পিছনে আরও কেউ রয়েছে কিনা তাও ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।