শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভরে দিচ্ছেন দেশের এই উদ্যোগপতি!

০৩:২৪ পিএম, এপ্রিল ২৪, ২০২১

মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভরে দিচ্ছেন দেশের এই উদ্যোগপতি!

করোনা আতঙ্কে কার্যত জেরবার গোটা দেশ। দিনের পর দিন চড়ছে করোনার গ্রাফ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। এরই মধ্যে সারা দেশে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে অক্সিজেনের। এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার কমতি নেই। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরাও। অক্সিজেন নিয়ে দেশ জুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেনের যোগান নেই। তাই ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে অক্সিজেন ক্রাইসিস। এক-একটি সিলিন্ডার বিকোচ্ছে হাজার হাজার টাকায়। মহামারীর মধ্যেও অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারী কিন্তু বন্ধ হয়নি। বরং নিত্যদিন তা বেড়েই চলেছে।

এই অবস্থায় দেশের করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন উত্তরপ্রদেশের এক উদ্যোগপতি। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের সুমেরপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াতে অবস্থিত রিমঝিম ইস্পাত ফ্যাক্টরির মালিক মনোজ গুপ্তা মাত্র ১ টাকার বিনিময়ে ভরে দিচ্ছেন একেকটি অক্সিজেন সিলিন্ডার! পাশাপাশি কালোবাজারি রুখতেও আরেক পন্থা নিয়েছেন তিনি৷ একমাত্র করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেখালেই ১ টাকার বিনিময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভরে দিচ্ছেন মনোজ। সেই সঙ্গে চিকিৎসারত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং রোগীর আধার কার্ডও বাধ্যতামূলক। সেগুলি দেখানোর পরই অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করে দেওয়া হচ্ছে রিমঝিম ইস্পাত ফ্যাক্টরিতে।

এই প্রসঙ্গে মনোজ জানিয়েছেন, প্রতিদিন ১০০০টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার মতো ক্ষমতা রয়েছে তাঁর কারখানায়। তাই দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে হাল ধরতে সিলিন্ডার প্রতি ১টাকার বিনিময়েই অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করে দিচ্ছেন তিনি। এরই সঙ্গে তিনি প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথিপত্র জমা রাখছেন। কারণ এতে দূর্নীতির হাত থেকে বাঁচা যাবে বলেই মনে করছেন তিনি। আসলে মনোজের উদ্দেশ্য একটাই, কালোবাজারি রুখে যথাসম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। যা পূরণ করতেই যথাসম্ভব চেষ্টা করে চলেছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে মনোজের এক টাকার অক্সিজেনের এই পরিষেবা। চাহিদা প্রচুর, তাই নিকটবর্তী ঝাঁসি, বান্দা, ললিতপুর, কানপুর, ওরাই তো বটেই এমনকি লখনউ থেকেও মানুষজন এসে অক্সিজেনের সিলিন্ডার ভরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে যখন দেশের অবস্থা টলোমলো, সেই পরিস্থিতিতে মনোজের মতো মানুষগুলিই এখনও প্রমাণ করেন যে, মানবিকতা আজও বেঁচে রয়েছে। এই মানুষগুলিই বর্তমানে দেশের হাল ফেরাতে সদাসচেষ্ট রয়েছেন।