রাজ্য সফরে আসার কথা থাকলেও আজ আসছেন না উপ নিরবাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তবে এদিন তিনি দুপুরের পরে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করতে পারেন। ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। মূলত ভোটের সময়ে কালো টাকা ও বেআইনি মদের ব্যবসার উপরে বিশেষ নজর রাখা, করোনা সংক্রমণের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েও কথা হতে পারে এদিন।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। অসমে ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে ২৫০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে অবাধ ভোটের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আধা সামরিক বাহিনী দিতে পারছে না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাই ফের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশকেও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর তকমা দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হবে।
বাংলায় সর্বোচ্চ ৮ দফায় ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তামিলনাডু ও পুদুচেরিতে এক দফায়, অসমে দুই থেকে তিন দফায় এবং কেরলে দু’দফায় ভোট নেওয়ার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচ রাজ্যে অবশ্য একই দিনে ভোট গণনা হবে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বুথের সংখ্যা যেমন বাড়ানো হচ্ছে তেমনই বেশ কিছু এলাকায় ভোটগ্রহণের সময়ও বাড়ানোর বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পাঁচ রাজ্যে ভোটের প্রস্তুতি শেষ বারের মতো খতিয়ে দেখতে কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা চলতি সপ্তাহেই বিভিন্ন রাজ্যে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, যে পাঁচ রাজ্যে ভোট হতে চলেছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বর্তমান মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ মে। পরের দিন অর্থাৎ ৩১ মে অসম বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তামিলনাডু ও কেরল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ২৪ মে ও ১ জুন। আর সদ্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া পুদুচেরির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৮ জুন।