বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে আবার নিম্নচাপও তৈরি হয়েছে। টানা ২ দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়য়ে চলেছে। বৃষ্টির কারণে একধাক্কায় তাপমাত্রাও নেমেছে অনেকটাই। বৃহস্পতিবারও একটি পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে, শুক্রবার থেকে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। সেই সঙ্গে কমবে বৃষ্টিও।
এদিকে, শহর কলকাতার তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই নেমেছে। গত বুধবার থেকে চলছে বৃষ্টি। জল জমার সমস্যায় ভুগছে শহর কলকাতার একাধিক এলাকা। আলিপুর আবহাওয়া দফতির সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম এবং এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৯ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৯২ শতাংশ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজও সারাদিন কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
নিম্নচাপ এবং বজ্রগর্ভ মেঘের কারণে বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া-সহ অন্যান্য জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হয়েছে। আজও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তবে, কালকের তুলনায় কিছুটা কমবে বৃষ্টি। শুক্রবার থেকে আরও কমতে পারে বৃষ্টি, সেই সঙ্গে কিছুটা বাড়বে তাপমাত্রাও। অর্থাৎ আগামীকাল থেকে রাজ্যে হাওয়া বদলের পূর্বাভাস রয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন ৫ জেলাতে রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার এই জেলাগুলিতে হতে পারে ভারী বৃষ্টি, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। জানা গিয়েছে, নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান বদল করে উত্তরবঙ্গের উপর আসবে। একইসঙ্গে আবার বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবেশ করতে চলেছে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু।
এই দুইয়ের প্রভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ফের ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বর্ষার দেরিতে প্রবেশকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছর দেশজুড়ে স্বাভাবিক হতে চলেছে বর্ষা। যদিও আবহাওয়াবিদদের একাংশ অ্যাল নিনোর একটি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে চলতি মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে তাপমাত্রার পারদ। গ্রীষ্মের দাবদাহের পর স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা কমাতে অনেকটাই স্বস্তিতে রাজ্যের মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :