শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে মেটাতে তৎপর কমিশন, পাঠানো হল বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী

১২:২৮ পিএম, অক্টোবর ১৯, ২০২১

রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন নির্বিঘ্নে মেটাতে তৎপর কমিশন, পাঠানো হল বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দুর্গাপুজো সবে শেষ হয়েছে। এবার রয়েছে রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। চলতি মাসের ৩০ তারিখ রয়েছে গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুর এবং খড়দহ এই চার কেন্দ্রে ভোট। এই পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে উপনির্বাচন মিটিয়ে ফেলতে তৎপর নির্বাচন কমিশন।

নিরাপত্তার স্বার্থে আগেই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল রাজ্যে। আর এবার পুজো শেষ হতেই আরও বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য মোট ৮০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকছে। ভোটের দিন অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর এবং ফল প্রকাশের দিন, ২ নভেম্বর কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবেন সিআরপিএফ এবং বিএসএফের জওয়ানরা।

রাজ্যের চাকি চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আগে থেকেই সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, মোট ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। এরিয়া ডমিনেশন, রুট মার্চ চালাচ্ছিলেন বিএসএফ, সিআরপিএফ, এসএসবি-র জওয়ানরা। কিন্তু নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততোই নিরাপত্তার স্বার্থে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই দুর্গাপুজো শেষ হতেই আরও ৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অয়াথান হয়েছে রাজ্যের ৪ উপনির্বাচনের কেন্দ্রে।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই জওয়ানরা স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে টহলদারি চালাচ্ছেন। সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করছেন। ভোটের দিন নির্ভয়ে যাতে সকলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই ভার জওয়ানদের উপরই, এমনটাই সাধারণ মানুষজনকে বোঝানো হচ্ছে।

অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, ৩০ অক্টোবর ভোটের দিন উক্ত ৪ কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে মোট ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট সমাধা হলে, কিছু বাহিনী ফিরে যাবে। ২ নভেম্বর অর্থাৎ ফলপ্রকাশের দিন গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকবেন বেশ কিছু জওয়ান। নিরাপত্তার দিকটা খতিয়ে দেখাই তাঁদের মূল দায়িত্ব। তবে, ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। উল্লেখ্য, এমনিতেই দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ-তিনটি কেন্দ্রই স্পর্শকাতর, অশান্তিপ্রবণ। সে কথা বিবেচনা করেই সম্ভবত কমিশনের এই বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের প্রধান লক্ষ্য, সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্যের বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শেষ করা।