শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের! টিকাকরণে গতি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন, কারা পাবেন?

০২:১৫ পিএম, নভেম্বর ৯, ২০২১

বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের! টিকাকরণে গতি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন, কারা পাবেন?

রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকাকরণে গতি বাড়াচ্ছে রাজ্য। সেই কারণে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এবার থেকে রাজ্য সরকারের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। যাঁরা এখনও করোনা টিকার প্রথম ডোজ পাননি অথবা শয্যাশায়ী থাকার কারণে টিকা নিতে পারেননি, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিহ্নিত করে টিকাকরণেই ব্যবস্থা করতেই এই নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷

বাড়ি বাড়ি গিয়ে দ্রুত যাতে টিকাকরণের কর্মসূচী শুরু করা যায়, এই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের শীর্ষ কর্তা এবং সচিব সৌমিত্র মোহন। রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যাতে সমস্ত এলাকায় স্বাস্থ্য এবং আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে টিকাকরণ সম্পর্কিত খোঁজখবর নেন। কলকাতা পৌরসভাতেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ, শয্যাশায়ী বা প্রবীণদের বাড়ি গিয়ে যাতে দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই বিষয়ে কড়া নজর দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে যে টিকাকরণ একমাত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ উপায়, কেন্দ্রের তরফে বার বার তা প্রচার করা হয়েছে। একই উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকারও। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও বহু মানুষই নানা কারণে প্রথম ডোজের টিকা নেননি৷ কিছু জন আবার দ্বিতীয় টিকা পাচ্ছে না। এই সমস্ত ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের টিকার ব্যবস্থা করবে সরকার। শয্যাশায়ী বা অসুস্থ থাকার কারণে যাঁরা টিকা পাননি, তাঁদেরও বাড়িতেই টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে৷ পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিকে টিকার প্রয়োজনীয়তা বোঝাবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা৷ তাঁরও দ্রুত টিকাকরণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন অনেকেরই দ্বিতীয় ডোজ বাকি৷ তাঁদের দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যে যে মানুষগুলি অসুস্থ বা শয্যাশায়ী তাঁদের তালিকা তৈরি করে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এসব হয়ে গেলে খুব দ্রুতই রাজ্য জুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।