বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন বাংলার কৃষকরা। এটাই প্রথমবার। এদিনই পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাংক ২ হাজার টাকা করে ঢুকেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ অথচ ‘পিএম কিষাণ ফান্ড’ কর্মসূচিতে শুক্রবার বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধি এবং কৃষকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে আমন্ত্রণ পায়নি বাংলা। এমনটাই অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উদ্যোগেই বাংলার কৃষকরা এই টাকা পেয়েছেন বলেও দাবি করে স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে ট্যুইট করা হয়েছে।
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে ট্যুইটে বলা হয়েছে যে, ‘স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ আজ পিএম কিসান ফান্ড বিতরণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পায়নি’। উল্লেখ্য, কিষাণ সম্মান যোজনার অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন বাংলার কৃষকরা। আর এর জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্যের উপর সব দায় চাপিয়েছিল। সেই টাকাই অবশেষে বাংলার ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আজ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর দাবি করেছে যে, এটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের দাবি এবং পদক্ষেপের কারণেই বাংলার ৭ লক্ষ কৃষক কিষাণ সম্মান নিধির প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন। পাশাপাশি এও বলা হয় যে, কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকার তার লড়াই জারি রাখবে।
https://twitter.com/HomeBengal/status/1393097533375791104 https://twitter.com/HomeBengal/status/1393097536202809347স্বরাষ্ট্র দফতরের ওই ট্যুইটকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ট্যুইটটিকে ট্যাগ করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইট করে লিখেছেন যে, ‘নরেন্দ্রকে কি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আসনে মানায়?’
https://twitter.com/derekobrienmp/status/1393098805461929986এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের খবর, আলাদা করে রাজ্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এই প্রকল্পে নোডাল অফিসার থাকেন। তাঁর মাধ্যমেই যোগাযোগ রাখা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পিএম কিষাণ ফান্ডের টাকা বিলি নিয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের কৃষকদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ১৮ হাজার টাকার তুলনায় অনেক কম টাকা রাজ্যের কৃষকদের দিচ্ছেন কেন্দ্রের মোদী সরকার। পাশাপাশি তিনি এও উল্লেখ করেন যে, সেই তুলনায়, কেন্দ্রের পিএম কিষাণ কর্মসূচির থেকে রাজ্য সরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন কৃষকরা।