শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে তৈরি হবে সেফ হোম! সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দপ্তর

০৩:১৪ পিএম, মে ১৮, ২০২১

করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে তৈরি হবে সেফ হোম! সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দপ্তর

সারা দেশের মতো রাজ্যেও বেলাগাম ভাবে চড়ছে করোনার গ্রাফ। মোকাবিলায় ৩০ মে অবধি লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ থাকছে সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত দপ্তরই৷ পাশাপাশি বন্ধ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। তবে এবার রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির গেট খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। তবে পড়াশোনা শুরু করার জন্য নয়, স্কুলগুলিতে তৈরি হবে সেফ হোম। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে আপাতত এই পদক্ষেপই নেওয়া হল রাজ্যে।

স্কুলগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব সেফ হোম বানানোর উদ্দেশ্যে রবিবারই চিঠি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকদের কাছে। সরকারি এবং সাহায্যপ্রাপ্ত কোন স্কুলগুলিকে সেফ হোমে পরিণত করা সম্ভব, সেই সিদ্ধান্তও জেলাশাসকদের উপরই ছাড়া হয়েছে। এছাড়াও চিঠিতে দ্রুত স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজ করে সেফ হোমের উপযুক্ত করে তোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকরাই সবকিছু ঠিকঠাক করবেন। এরপর স্কুলগুলিকে করোনা আক্রান্তদের বাসযোগ্য করে তুলে সরকারকে রিপোর্ট পাঠাবেন বলে খবর।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগুলি বন্ধ থাকার পরে সেখানে ধুলো-ময়লা জমেছে। তাই স্কুলগুলির ধুলো পরিস্কার করে সেগুলিকে জীবাণুমুক্ত করে তোলাই এখন প্রথম কাজ। কোভিড রোগীদের বসবাসকারী স্বাস্থ্যসম্মত জায়গা গড়ে তুলতে সমস্ত স্কুলে স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন। চিঠিতে তাই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ সেরে জরুরি ভিত্তিতে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। তারপরই স্কুলগুলিকে সেফ হোম হিসাবে ব্যবহার করা হবে। তবে সেখানে ঠিক কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে, তা এখনও জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের করোনাকালীন পরিস্থিতিতে পঠন-পাঠনের জন্য স্কুল যে কবে খুলবে তা কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না৷ এদিকে রাজ্যে নিত্যদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমিতের সংখ্যা ১৯,০০১ জন। তাই এই অবস্থায় স্কুলগুলিকে তালাবন্ধ অবস্থায় ফেলে না রেখে করোনা মোকাবিলায় কী ভাবে কাজে লাগানো যায় সেই পদক্ষেপই নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। ফলপ্রসূ, স্কুলগুলি বদলে যেতে চলেছে সেফ হোমে।