মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

নেত্রী হিসেবে ঝাঁঝালো বক্তৃতার পর ‘ঘরের মেয়ে’র ভূমিকায় মমতা! নিজের হাতেই বানালেন চা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম | আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম

নেত্রী হিসেবে ঝাঁঝালো বক্তৃতার পর ‘ঘরের মেয়ে’র ভূমিকায় মমতা! নিজের হাতেই বানালেন চা
নেত্রী হিসেবে ঝাঁঝালো বক্তৃতার পর ‘ঘরের মেয়ে’র ভূমিকায় মমতা! নিজের হাতেই বানালেন চা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ জনতার ভিড়ে মিশে যাওয়ায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এটা তাঁর ইউএসপিও বলা যায়। আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এক যুগ পেরিয়েও তিনি রয়ে গিয়েছে মাটির মানুষ। কোচবিহারের চান্দামারিতে সভা শেষ হতেই ফের চেনা রূপে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তাঁর এই গুণের কারণেই অতি সহজেই তিনি ভিআইপি নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন মানুষের কাছে। এই মুহূর্তে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে, প্রচার শুরু করলেন উত্তরবঙ্গ থেকে।

এদিন উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে প্রথম জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা শেষ করে জলপাইগুড়িতে এসে চালসায় বৈঠক করলেন, তারপর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাগরাকাটার রাস্তার পাশের এক ছোট্ট ঝুপড়ি চা-মোমর দোকানে ঢুকে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই উনুনের সামনে গিয়ে চা বানানোর উদ্যোগ নেন। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণ নতুন নয়, তবে চা দোকানি মুখ্যমন্ত্রীর এই রূপ দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মানুষের মধ্যে মিশে যাওয়ার এই ঘটনায় উচ্ছ্বাস ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকে।

এদিন ফের ডুয়ার্সে পৌঁছে হয়ে উঠলেন ‘ঘরের মেয়ে’। সোমবার বিকেলের চালসা পৌঁছেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাধ্যায়। সেখানেই রাস্তার ধারে এক চায়ের দোকানে নিজের হাতে বানালেন চা, মোমো। তারপর তা সকলকে দিলেন।

এদিন থেকেই পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করলেন তিনি। কোচবিহারের সভা শেষ করেই নেত্রী চলে যান ডুয়ার্সে। সেখানে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্ফীতি নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেত্রী জানান, ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের আত্রেয়ী নদী ফুলেফেঁপে ওঠে, যার জেরে বিপাকে পড়েন নদী তীরবর্তী সাধারণ মানুষজন। তা নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, শুধু উত্তরবঙ্গে নদীই নয়, এই সমস্যায় জর্জরিত মালদহ, মুর্শিদাবাদও। বৃষ্টি হলেই সেখানে প্লাবন, নদীভাঙনের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় প্রায়শই। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, ড্রেজিংয়ের উপরে এদিন জোর দেন।

এই বৈঠকের পর চালসার সিংক্লিয়ারস হোটেলে কিছুটা সময়ের জন্য বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে ফের হাঁটতে বেরোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে চোখের সামনে দেখে ডুয়ার্সবাসী কার্যত ঘিরে ধরেন। তিনিও তাঁর স্বাভাবিক ভঙ্গিতে মিশে যান তাঁদের সঙ্গে। এরপরই রাস্তার ধারে এক ছোট্ট চা দোকানে ঢুকে পড়েন। নিজেই চা-মোমো বানাতে হাত লাগান। দোকান থেকে বেরিয়ে হাসিমুখে বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে একটু চা-মোমো খেলাম। আমিও বানালাম।’