চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! নিহত প্রৌঢ় দম্পতি ও গাড়ির চালক

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ব্যাঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা করিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল প্রৌঢ় দম্পতি ও তাঁদের গাড়ির চালকের। সোমবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার গুড়াপে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনার জেরে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চারচাকা গাড়ির বডি গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনটি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের নাম রণজিৎ মণ্ডল, বয়স ৬৪ এবং বিজলী মণ্ডল বয়স ৫৯। আর ওই দুর্ঘটনায় মৃত গাড়ির চালকও তাঁদেরই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর নাম বেচু ঘোষ, বয়স ৩৪ বছর। একই দিনে তিনজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল একটি চার চাকা গাড়ি। মাজিনান সেতুতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। ঠিক সেই মুহূর্তে পিছন থেকে আসা অন্য একটি ট্রাক চার চাকা গাড়িটির পিছনে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে চার চাকা গাড়িটি ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক-সহ ওই গাড়িতে থাকা দম্পতির মৃত্যু হয়।

মৃত রণজিৎ মণ্ডলের ভাই কাজল মণ্ডল এদিন বর্ধমান হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁর দাদা বর্ধমান হাসপাতালে ফার্মাশিস্ট ছিলেন। ৩-৪ বছর আগে রিটায়ার করেছেন। দাদা রণজিৎ মণ্ডলের মেয়ে ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন। চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁর দাদা এবং বৌদি কিছুদিন আগে ব্যাঙ্গালুরুতে যান। সেখানে মেয়ের বাড়িতে থেকেই তাঁরা চিকিৎসা করান। এরপর চিকিৎসা করিয়ে সোমবার বর্ধমানের বাড়িতে ফেরার জন্য দুজনেই ব্যাঙ্গালুরু থেকে প্লেনে রওনা হন। রাতে তাঁরা দমদম বিমান বন্দরে নামেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাঁর দাদা ও বৌদিকে বাড়ি আনার জন্য এলাকারই যুবক বেচু ঘোষের গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল।

কাজল বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, এলাকার যুবক বেচু ঘোষের চারচাকা গাড়িতে চেপে রণজিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী বিজলীদেবী গভীর রাতেই জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানে ফিরছিলেন। রাত আনুমানিক দুটো নাগাদ গুড়াপে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা তিনজন মারা যান। এমনকি মৃতদেহ বার করার জন্য পুলিশকে গ্যাস কাটার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত চারচাকা গাড়ির বডি কাটতে হয়।