বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ রাজ্যের দৌড়গোড়ায় ২০২১ এর বিধানসভা ভোট। রাজ্যের শাসক দলে কে আধিপত্ত বিস্তার করবে তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক বিরোধ। রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের অবস্থান পাকাপক্ত করতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে। চলছে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধ। যেকোন সভায় দুই দলের নেতারা একে অপরকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন। শেষ পর্যন্ত কে হাসবে শেষ হাসি তা দেখার জন্য অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। বিধানসভার ভোটের ফলাফলেই জানা যাবে কে হবে বাংলার শাসক।
তবে আসন্ন ভোটের আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ আরও দুই জেলায় জনসভা করে। প্রথমে সভা করেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এবং তারপর সভা করেন মালদায়। উল্লেখ্য পূর্বে দুই দিনাজপুরের জেলার দায়ত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে বর্তমানে তিনি বিজেপি দলের সদস্য। তাঁর দলত্যাগের প্রভাব কতটা পড়বে দুই দিনাজপুরে তা দেখার বিষয়। এছাড়া গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে মালদাতেও ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল। তাই আসন্ন ভোটে তৃণমূল শিবিরের অন্যতম লক্ষ্য মালদা ও দুই দিনাজপুর।
https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/731706347482525
আজ প্রথমে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ রায়গঞ্জের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী বক্তব্য রাখলেন চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক.. আজ তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মানুষের সেবা করার সাথে সাথে মাথা উচু করে চলতে হবে। তবে যদি কেউ নিজেকে বড় নেতা মনে করে থাকে তাহলে তাঁর কাজে দল নিজে ছোট হয়ে টিকিট দেবে না। এছাড়া তিনি বলেন, যারা লোভী তারা দল ত্যাগ করতে পারেন। তিনি বলেন কিছু ইঁদুর সম লোককে কাজ করতে পাঠিয়েছিলাম, আর তারা এখন বাঘ হয়ে খেতে আসছে ঋষিকে। এভাবেই রায়গঞ্জের মাটি একের পর এক আক্রমন করেন তিনি।
https://www.facebook.com/MamataBanerjeeOfficial/videos/1116053058817602
এরপর রায়গঞ্জ থেকে যান মালদাহে। সেখানে ইংরেজবাজারের বিএসএফ ময়দানের জনসভায় যোগ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন মালদায় আসন পান না বলে দুঃখ পান তিনি, তবে এবারে তিনি আর খালি হাতে ফেরার জন্য আসেননি। তিনি বলেন বিনামূল্যে রেশন পাওয়া সুবিধা পেতে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। এছাড়া তিনি বলেন, মালদায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলি তিনি সমাধান করে দেবেন। তিনি বলেন, বিজেপি এবার রথযাত্রা শুরু করেছে, আর এদিকে হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই। এভাবেই তিনি আজ কথার বানে নানা ভাবে বিজেপিকে তীব্র আক্রমন করেন।