শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘দলত্যাগীদের পাশাপাশি বহু বিজেপি বিধায়ক আসতে চাইছেন’, দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

০৭:০১ পিএম, জুন ৭, ২০২১

‘দলত্যাগীদের পাশাপাশি বহু বিজেপি বিধায়ক আসতে চাইছেন’, দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই ফের দলত্যাগীদের দলে ফেরার হিড়িক পড়ে গেছে। অনেকেই ফের পদ্ম শিবির থেকে ঘাসফুল শিবিরে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই। আবার সূত্রের খবর, শুধু দলত্যাগীরাই নয়, অনেক বিজেপি নেতাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর, সোমবারই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন যে, ‘শুধু দলত্যাগীরা কেন, বিজেপিতে জেতা বিধায়করাও যোগাযোগ করেছেন। শনিবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এনিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এনিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ছেড়েছেন প্রত্যেকে। পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর দলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হবে।’ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দায়িত্ব নিয়েই, অতি সুকৌশলে বুঝিয়ে দিলেন, আগামীতে রাজ্যে আরও কোণঠাসা হতে চলেছে বিজেপি।

উল্লেখ্য, তৃণমূলের যেসব নেতা-নেত্রী বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ভোটে লড়ার টিকিট না পেয়ে, বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই আবার ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর। যেমন, সম্প্রতি চিঠি লিখে ক্ষমা প্রার্থনা করে ফিরতে চেয়েছেন নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সোনালী গুহ। এছাড়াও বিজেপিতে গিয়ে ঘোর কাটার পর, ফিরতে চেয়েছেন মালদহের সরলা মুর্মু এবং উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্যও। অতি সম্প্রতি চিঠি লিখে ফের তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, প্রাক্তন ফুটবলার তথা বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা বেসুরো শুভ্রাংশু রায় এবং সৌমিত্র খাঁও।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি যে দায়িত্ব পেয়েছেন, তার জন্য তিনি শেষপর্যন্ত তাঁর লড়াই জারি রাখবেন। অন্যদিকে, এদিন তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করার পাশাপাশি দেশের অন্য রাজ্যেও তৃণমূলকে ছড়িয়ে দেওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা-এসবের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর লক্ষ্য অনেক বড়।

দৃঢ়তার সঙ্গে এদিন বলেছেন, ‘আগের তৃণমূলের সঙ্গে এই তৃণমূলকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। এক মাসের মধ্যে কংক্রিট প্ল্যান জানাব। যদি কোনও রাজ্যে ভোট লড়তে যাই তবে, একটি দুটি আসনের জন্য লড়তে যাব না। ভোটের ভাগ বাড়াতেও যাব না। আগের তৃণমূলের থেকে এই তৃণমূল আলাদা। এবার যদি ভিন রাজ্যে যাই, সেই রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই যাব।’

এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করার পর থেকেই ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে 'পরিবারতন্ত্রের' অভিযোগ করেছে বিজেপি। এদিন সেই প্রসঙ্গে সরাসরি দিল্লির নেতাদের নিশানা করেছেন কালীঘাটের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘একদিকে বিজেপি বলে বাংলার বাইরে তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই। আমি নতুন দায়িত্ব পেতেই তারা রীতিমতো বিপর্যস্ত।আমি অমিত মালব্যকে অনুরোধ করবো দিল্লির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে। তারা একটা বিল আনুক যেখানে বলা হবে প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন প্রতিনিধি রাজনীতিতে আসতে পারবে বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িত থাকতে পারবে। আমি বারবার বলেছি প্রকাশ্যে। কিন্তু ওদের ক্ষমতা নেই।’