শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য, বিষ কিনতে গিয়ে দোকানির সঙ্গে প্রেম! প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফের বিষপান মহিলার

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২২, ০৮:২৩ এএম | আপডেট: মে ৯, ২০২২, ০২:২৩ পিএম

স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য, বিষ কিনতে গিয়ে দোকানির সঙ্গে প্রেম! প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফের বিষপান মহিলার
স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য, বিষ কিনতে গিয়ে দোকানির সঙ্গে প্রেম! প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফের বিষপান মহিলার / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিয়ের পর থেকেই সংসারে শুরু হয় নিত্য অশান্তি। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ২২ বছরের মহিলা সীমা আক্তার। ভাবা মাত্রই কাজ। এলাকারই একটি কীটনাশকের দোকানে যান বিষ কিনতে। কিন্তু মহিলার আবভাব দেখে সন্দেহ হয় দোকানদারের। সেই মুহূর্তে বুঝিয়ে-শুনিয়ে শান্ত করেন সীমাকে।

এরপরই দোকানদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মহিলা। কিছুদিনের মধ্যেই তালাক দেন স্বামীকেও। সম্পর্ক বেশ কয়েকদিন গড়িয়ে গেলে প্রেমিককে বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসেন তিনি। বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করেও কোনও লাভ হয় না। অবশেষে ফের বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। যদিও তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হওয়ায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন সীমা আক্তার।

এমন অবাক করা কান্ড ঘটেছে বাংলাদেশের পটুয়াখালির মির্জাগঞ্জে। জানা গিয়েছে, সীমার প্রেমিকের নাম মহম্মদ রায়হান। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক সুবিদখালী বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা। সীমা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের মধু চাপরাশির ছেলে শহিদুল্লাহর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। তাঁর তিন বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। সীমার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে নিত্য দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। এরপর একদিন সাংসারিক অশান্তি মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করার কথা ভেবে বসেন।

পরিকল্পনা মতো একদিন রায়হানের দোকানে যান কীটনাশক কিনতে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সীমাকে সেই মুহূর্তে বাধা দেন রায়হান। অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে তাঁর মাথা থেকে আত্মহত্যার চিন্তা দূর করেন। স্বাভাবিকভাবেই রায়হানের সহমর্মিতা ও মানবিকতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে মন দিয়ে বসেন সীমা। সেই থেকেই শুরু হয় তাঁদের প্রেম কাহিনী।

এদিকে স্বামীকেও তালাক দিয়ে দেন সীমা। রায়হানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালোই চলছিল। সমস্যা তখনই তৈরি হয় যখন তিনি রায়হানের কাছে বিয়ের কথা তোলেন। সীমার অভিযোগ, রায়হান বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। কিন্তু বিয়ের প্রসঙ্গ আসতেই রায়হান ধীরে ধীরে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। এরপর তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন সীমাকে বিয়ে করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। অগত্যা উপায় না পেয়ে রায়হানের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন সীমা।

টানা ছ’দিন চলে অনশন। কিন্তু তাতেও প্রেমিককে বিয়েতে রাজি করাতে অসমর্থ হন সীমা। উপায় না পেয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সীমা ফের বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে সীমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দু-দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করায় তাঁর মানসিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলেই।