বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

স্ত্রীকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন যুবক! তারপর? ঘটল এই কাণ্ড

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২২, ১১:২৯ এএম | আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২২, ০৫:২৯ পিএম

স্ত্রীকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন যুবক! তারপর? ঘটল এই কাণ্ড
স্ত্রীকে ফেলে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন যুবক! তারপর? ঘটল এই কাণ্ড

দুই প্রেমিকার সঙ্গে একই সঙ্গে প্রেম চালাচ্ছিলেন বাংলাদেশের এক যুবক। ধরা পড়তেই বাধে বিপত্তি! এরপর নিজের দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে সারলেন বছর পঁচিশের রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি নামে সেই যুবক। সেখানে উপস্থিত ছিল তিনজনের পরিবারও। সেই বিয়ের ছবি এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

গত বুধবার, ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকায়। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার ইতি রানী নামে বছর কুড়ির এক যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি নামে সেই যুবক। সেই প্রেমের কথা কেউই জানত না৷ এমনকি গোপনে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও সারেন দু‍‍`জনে। তবে তার কিছুদিন পরই লক্ষীদ্বার গ্রামের মমতা রানী নামে আঠারো বছরের আরেক তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন রনি। এরপর একদিন রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান ওই যুবক।

জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার পরই মমতার সঙ্গে রনির বিয়ের তোড়জোড় শুরু করে দুই পরিবার। আর তা শুনেই ছুটে আসে প্রথম প্রেমিকা তথা স্ত্রী ইতি৷ রনির বাড়ির সামনেই শুরু করে দেন অনশন। এরপরই তিন পরিবার মিলে দুই প্রেমিকার সঙ্গেই রনির বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সকলের উপস্থিতিতে ঘটা করে সম্পন্ন হয় সেই বিবাহ অনুষ্ঠান। এরপর দুই স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই উঠেছেন রনি।

রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মণ জানিয়েছেন, যেহেতু আগের বিয়ের বিষয়ে জানা ছিল না, তাই নতুন করে আবার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। দুজনকে একসঙ্গে ঘরে তুলতে তাঁদের কোনও আপত্তি ছিল না বলেও জানান তিনি৷ ইতি ও মমতার বাড়ি থেকেও কোনও সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। তবে এই বিয়ের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, খবরটি তিনি শুনেছেন। এর আগে তিন পরিবারের অভিভাবকরা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানালে তিনি প্রশাসনকেও জানিয়েছিলেন। তবে পরে আর কেউ আসেননি বা যোগাযোগও করেননি বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।