বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে! পাকিস্তানের হাতে নাকি পড়ে মাত্র পাঁচ দিনের ডিজেল

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২, ০৯:৫১ পিএম | আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২২, ০৪:০০ এএম

চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে! পাকিস্তানের হাতে নাকি পড়ে মাত্র পাঁচ দিনের ডিজেল
চিন্তার ভাঁজ পাকিস্তানের কপালে! পাকিস্তানের হাতে নাকি পড়ে মাত্র পাঁচ দিনের ডিজেল

মুদ্রাস্ফীতির জেরে মহাসংকটে পাকিস্তান (Pakistan)। একদিকে দিন দিন বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। তার উপর দেখা দিয়েছে আরেক চরম সংকট। গোটা দেশ জুড়ে এখন ডিজেলের বিপুল ঘাটতি। পাকিস্তানের হাতে নাকি পড়ে মাত্র পাঁচদিনের ডিজেল। তা দিয়েই এখন চালাতে হচ্ছে দেশবাসীদের।

পাকিস্তানের এই পরিস্থিতির জন্য কিছুটা দায়ী করা যেতে পারে আন্তর্জাতিক স্তরে রুশ-ইউক্রেন সংঘাতকেও। আন্তর্জাতিক বাজারের উপর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বড় প্রভাব পড়েছে৷ ফলে আচমকাই বেড়ে গিয়েছিল অপরিশোধিত তেলের ( Crude Oil) দাম। যুদ্ধ শুরুর আগে যে তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৯৪ মার্কিন ডলার, সেই দামই বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১২ মার্কিন ডলারে। তবে সাময়িক স্বস্তি যে, আজ বাজারে কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম।

তবে এসবের মধ্যেই ডিজেল সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান। মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক স্তরে তেল কোম্পানিগুলির স্টকের অবক্ষয়ই এর জন্য দায়ী। এছাড়াও পাকিস্তানি ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন তেল উৎপাদনকারী সংস্থাকে হাই-রিস্ক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে। তাই সব মিলিয়ে সে দেশে ডিজেলের ঘাটতি মাত্রা ছাড়িয়েছে।

দেশের এহেন তৈল সংকট সম্পর্কে পাকিস্তান সরকারও অবগত। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল প্রস্তুতকারী সংস্থা পাকিস্তান স্টেট অয়েল ( Pakistan State Oil) বা PSO চিঠি দিয়ে তেলের সংকটের কথা জানিয়েছে। PSO-র রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের তৈল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি তেল আমদানি বিশেষত হাই-স্পিড ডিজেল আমদানি করতে অসক্ষম। সেই কারণে দেশে চরম তৈল সংকট তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য ওয়েল কোম্পানিস অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল ( The Oil Companies Advisory Council) বা OCAC এর তরফেও চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করা হয়েছে পাক সরকারকে৷ বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

দেশের এহেন সংকটময় পরিস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আসনও এখন টলমল করছে। শোনা যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় সরকারের বিরুদ্ধে উঠতে চলেছে অনাস্থা প্রস্তাব। এখন পাকিস্তানের এই মুদ্রাস্ফীতির সংকট কবে কাটে বা ডিজেলের ঘাটতি নিয়ে সরকার ঠিক কী ব্যবস্থা নেয়, তা-ই দেখার।