শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ধর্মদ্রোহের অভিযোগ! দ্রুত গ্রেফতার হতে পারেন প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৩, ২০২২, ০৪:৪১ পিএম | আপডেট: মে ৩, ২০২২, ১০:৪১ পিএম

ধর্মদ্রোহের অভিযোগ! দ্রুত গ্রেফতার হতে পারেন প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
ধর্মদ্রোহের অভিযোগ! দ্রুত গ্রেফতার হতে পারেন প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হতে পারে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। এমনটাই ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। আর এই মামলার ওপর ভিত্তি করেই ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে?

প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে বসার পর প্রথমবার তিন দিনের জন্য বিদেশ সফরে যান পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তাঁর সঙ্গে ছিল একটি প্রতিনিধি দলও। সৌদি আরবের পবিত্র ভূমি মদিনায় অবস্থিত বিখ্যাত ধর্মস্থান মসজিদ-ই-নবাবিতে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানেই চরম অসম্মানজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই মসজিদে উপস্থিত পুণ্যার্থীদের একাংশ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রতিনিধি দলের সদস্যদের দেখে ‘চোর’, ‘চোর’ বলে চিৎকার করতে শুরু করে।

মদিনার ওই ধর্মস্থানের পবিত্রতা নষ্ট করার অভিযোগে বেশ কয়েকজন পুণ্যার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফর যে এতটা অসম্মানজনক হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি শেহবাজ। কটুক্তির হাত থেকে রক্ষা পাননি প্রতিনিধি দলের মধ্যে থাকা পাকিস্তানের মন্ত্রী ও সাংসদরাও।

অভিযোগ ওঠে, ইমরান খানের নির্দেশে তাঁর সমর্থকরা মদিনায় শেহবাজকে অপমান করতেই রাজনৈতিক স্লোগান দেয়। শেহবাজকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয়।  ইতিমধ্যেই ইমরান খান সহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, যারা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা রজু করা উচিত। এমনকি এই বিষয়ে যদি কোনও সাধারণ নাগরিক মামলা দায়ের করতে চান তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বাধা দেওয়া হবে না। এছাড়াও পাক প্রশাসন মনে করছে, পুরো ঘটনাটিই পূর্বপরিকল্পিত।

অন্যদিকে ঘটনার পরই মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়ুম ঔরঙ্গজেব। জানা গিয়েছে, ওই প্রতিনিধি দলের মধ্যে তিনিও পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। ঘুরপথে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দায়ী করে এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “এই পবিত্র ভূমিতে দাঁড়িয়ে আমি ওই ব্যক্তির নাম নিতে চাই না, কারণ আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি৷ কিন্তু ওরা গোটা পাকিস্তানের সমাজের বদনাম দিল”।