শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

হাড়হিম করা ঘটনা মার্কিন মুলুকে! ট্রাকের মধ্যে থেকে মিলল ৪৬ জন অভিবাসীর মৃতদেহ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২, ১০:০৭ এএম | আপডেট: জুন ২৮, ২০২২, ০৪:০৭ পিএম

হাড়হিম করা ঘটনা মার্কিন মুলুকে! ট্রাকের মধ্যে থেকে মিলল ৪৬ জন অভিবাসীর মৃতদেহ
হাড়হিম করা ঘটনা মার্কিন মুলুকে! ট্রাকের মধ্যে থেকে মিলল ৪৬ জন অভিবাসীর মৃতদেহ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আমেরিকায় একটি ট্রাকের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হল ৪৬ জনের মৃতদেহ। এরা সকলেই শরণার্থী বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ৪ শিশু-সহ হাসপাতালে আরও ১৬ জন ভরতি বলেই জানা গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের সান আন্তোনিওতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর, রেল লাইনের ধারেই দাঁড় করানো ছিল ওই ট্রাকটি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শরণার্থীদের নিয়ে টেক্সাসে এসেছিল ওই ট্রাকটি। কিন্তু কীভাবে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটল? কীভাবে এতজনের মৃত্যু হল, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না স্থানীয় পুলিশ। 

সোমবারই ওই ট্রাক থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়। টেক্সাস শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে ওই ট্রাকটা রেল লাইনের ধারে ছিল। এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে মেক্সিকোর দমকল বিভাগ জানিয়েছে যে, অত্যাধিক গরমের কারণেই এতোজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবে, আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে মানুষ পাচারের ঘটনাও প্রায়শই ঘটে থাকে। সেক্ষেত্রে মৃতদেহ পাচারের সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, মৃতদেহগুলিকে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়েই ওই ট্রাকে তোলা হয়েছিল। আবারও অন্য একটি মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মৃত ব্যক্তিরা শরণার্থী হিসাবেই আমেরিকায় আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। তাই তাঁরা সকলে ট্রাকে উঠেছিল। 

এদিকে, মৃতরা প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৬ জন অভিবাসীকে ট্রাক থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেথোডিস্ট হেলথ কেয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে তিনজনকে মেথোডিস্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এই ১৬ জনের মধ্যে আবার ৪ টি শিশুও রয়েছে। 

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এমন ভয়াবহ ঘটনার পরে তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে মেক্সিকো সরকার। মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা এটি। ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে মেক্সিকোর একটি প্রতিনিধি দল। তবে মৃতরা আদৌ মেক্সিকোর নাগরিক কিনা, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে।