বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

26/11-র মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সইদকে ৩১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ পাক আদালতের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২২, ০৮:০১ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ৯, ২০২২, ০২:০১ এএম

26/11-র মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সইদকে ৩১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ পাক আদালতের
26/11-র মুম্বই হামলার চক্রী হাফিজ সইদকে ৩১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ পাক আদালতের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মুম্বই হামলার মূল চক্রী তথা সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদকে ৩১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিল পাকিস্তানের আদালত। শুধু কারাদণ্ডই নয়, ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। এই হাফিজ মহম্মদ সইদ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার চিফ।

এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ভারতের বেশ কয়েকটি বড় বড় হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই সংগঠনের চিফ হাফিজকে প্রায়শই ভারতের বিরুদ্ধে ভাষণ দিয়েছে। সেইসব ভাষণের মাধ্যমে ভারতীয় মুসলিমদের উত্তেজিত করার বারবার চেষ্টা করেছে এই হাফিজ সইদ।  

ভারতের অনুরোধেই জাতিসংঘ হাফিজ সইদকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছে। এখানেই শেষ হয়, তার বিরুদ্ধে এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। সন্ত্রাসমূলক কাজে অর্থ সাহায্যের কারণে গত বছরের ১৭ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যের দুটি ভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা সইদকে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার জরিমানাও করেন বিচারক। সূত্রের খবর, হাফিজ সইদের একটি মাদ্রাসা ও মসজিদেরও দখল নেবে পাক প্রশাসন। উল্লেখ্য, এর গে ২০২০ সালে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। তারপরেও পাকিস্তানে সে অর্থে খোলাখুলি ভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এই জঙ্গি নেতা। বছর ৭১-এর হাফিজ সইদ পাকিস্তানের একটি কারাগারে বন্দি বলেই জানা গিয়েছে।

২০১৯ সালে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমেরিকা সফরের কয়েকদিন আগেই হাফিজকে গ্রেফতার করা হয়। সেই গ্রেফতারির খবর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেসবই ছিল পাকিস্তানের এক ধরনের চালাকি। সেটা কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তাকে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় অবাধে ঘুরতে দখা যায়। 

প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈইবা ২০০৮ সালের মুম্বইয়ে হামলা করে। এই হামলায় ৬ জন আমেরিকা-সহ ১৬৬ জন নিহত হয়। সেই হামলার পর ভারত সরকার হাফিজ সইদ-সহ সেই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।