সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

রুশ প্রেসিডেন্টই কি বিশ্বের সবথেক ধনী? ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জানতে আগ্রহী মানুষ!

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২২, ১১:০৪ পিএম | আপডেট: মার্চ ৫, ২০২২, ০৫:১৫ এএম

রুশ প্রেসিডেন্টই কি বিশ্বের সবথেক ধনী? ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জানতে আগ্রহী মানুষ!
রুশ প্রেসিডেন্টই কি বিশ্বের সবথেক ধনী? ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জানতে আগ্রহী মানুষ!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইউক্রেনের উপর হামলা করছে রাশিয়া, তাও বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। রাশিয়া ক্রমাগত তাঁর আক্রমণের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের খেরসন শহরের দখল নিয়েছে রুশ সেনা। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের উপর হামলার নিন্দা করে বিভিন্ন দেশ প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। বিভিন্ন দিক থেকে নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে রাশিয়ার উপর। রুশ প্রেসিডেন্টকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে রাশিয়াকে অর্থ সাহায্য করবে না। 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ব্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনে ‘সেনা অভিযান’-এর সিদ্ধান্তকে কোনও দেশই সমর্থন জানায়নি। বারবার এই আগ্রাসন নীতি থেকে সরে আসার কথা বলা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে বলা হলেও, তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি রাশিয়া। তাই অন্যদিক থেকে রাশিয়াকে জব্দ করার, কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ইউক্রেনের বাসিন্দাদের প্রতি যে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে রুশ সেনা, সেই জন্য রাশিয়া এবং বেলারুশে বিশ্ব ব্যাঙ্কের যাবতীয় প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ করা হবে। তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ জানতে আগ্রহী, ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পত্তির পরিমাণ কতো? এই আলোচনাই এখন মানুষের মুখে। 

এ বিষয়ে কেউ বলছে, ‘পুতিনের আসল সম্পদ আসলে একটি রহস্য, যা কেউ ভেদ করতে পারেনি।’ কেউ আবার বলছে, ‘মিথ্যা, সম্পর্ক আর লোভ, পুতিনকে বিশ্বের সেরা ধনী বানিয়েছে।’

উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে, সেখানে বেসরকারিকরণ নীতি গ্রহণের ফলে, রাশিয়ার নাগরিকদের একাংশ বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পুতিন সম্পদ দখলের জন্য এদেরকেই টার্গেট করেছিলেন। সূত্রের এও খবর, পুতিন এই সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে একটি চুক্তিতে করেছিলেন। সেই চুক্তি খুব একটা জটিল নয়। চুক্তিটা ছিল-তুমি তোমার সম্পদের ৫০ শতাংশ আমাকে দাও। বাকি ৫০ শতাংশ রক্ষার দায়িত্ব আমার। তবে, এই চুক্তি না মানলে, পুরো সম্পত্তিই আমার, আর তোমার স্থান হবে জেলে।

রুশ প্রেসিডেন্টের সম্পদের পরিমাণ কী? এই প্রশ্নের উত্তরই সবাই জানতে চান। আশ্চর্যের বিষয়, ক্রেমলিন প্রতিবছরই পুতিনের সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ দেয়। সেই বিবরণ অনুসারে, সম্পদের পরিমাণ তেমন আহামরি নয়। যেমন, ২০২০ সালে পুতিনের আয় ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, সম্পদের বলতে ৩টি গাড়ি, ৮০০ স্কোয়ার ফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, ২০০ স্কোয়ার ফুটের গ্যারেজ, ১৬০০ স্কোয়ার ফুটের আরেকটি অ্যাপার্টমেন্ট ইত্যাদি।

বলা হয় যে, রুশ প্রেসিডেন্টের জীবনযাত্রা খুবই সাধারণ। কাজেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে পশ্চিম দুনিয়া যা প্রচার করে, তা সত্যি নয়। তবে, শুধু পশ্চিমীই দেশই নয়, রাশিয়ার কেউ কেউ এমন প্রচার করে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন, একদা পুতিন ঘনিষ্ঠ স্টানিসলভ বেলকভস্কি। ২০১২ সালে তিনি জানিয়েছিলেন যে, পুতিনের সম্পদের পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন ডলার। তিনি বিভিন্ন তেল কোম্পানিতে পুতিনের গোপন শেয়ারের উপর ভিত্তি করেই ওই হিসাব দিয়েছিলেন। 

অন্যদিক, পুতিনের সমালোচকেরা অবশ্য বিল ব্রাওডারের দেওয়া হিসাবেরই বেশি উল্লেখ করেন। তাঁর মতে পুতিনের সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া সঙ্গে অন্যান্য সম্পদও আছে। বলা হয়, সব মিলিয়ে এই মুহূর্তের ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের চেয়েও পুতিনের সম্পদ বেশি। দেখতে গেলে গোপনে পুতিনই বিশ্বের সবথেকে ধনী।