রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

‘ওর কোনও কিছুর অভাব ছিল না, কালও বার বার বলছিল, আমিও মরে যাব’! ঠিক কী বললেন মঞ্জুষার মা?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২, ০১:৩৬ পিএম | আপডেট: মে ২৭, ২০২২, ০৭:৪৫ পিএম

‘ওর কোনও কিছুর অভাব ছিল না, কালও বার বার বলছিল, আমিও মরে যাব’! ঠিক কী বললেন মঞ্জুষার মা?
‘ওর কোনও কিছুর অভাব ছিল না, কালও বার বার বলছিল, আমিও মরে যাব’! ঠিক কী বললেন মঞ্জুষার মা?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পল্লবী-বিদিশার পর শহরে আরও এক অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু। টলিপাড়ার অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং মডেল বিদিশার পর এবার আরও এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে। মডেল- অভিনেত্রী মঞ্জুষার মৃত্যুর জন্য অতিরিক্ত লোভ, উচ্চাকাঙ্খা এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা উপার্জনের চেষ্টাকেই দায়ী করলেন তরুণীর মা। শুধুমাত্র নিজের মেয়ে নয়, অভিনেত্রী পল্লবী এবং বিদিশার মৃত্যুর জন্য এই একই কারণ দায়ী বলেই মত তাঁর। 

এদিন সকালে মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। পরপর তিন অভিনেত্রীর এই রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ নিয়ে চলছে বিস্তর কাঁটাছেঁড়া। এদিকে, পল্লবী এবং বিদিশার মৃত্যুর নেপথ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে সদ্য মৃত মডেল ও অভিনেত্রী মঞ্জুষার মা বলছেন অন্য কথা। তাঁর মতে অল্প সময়েই ধনী হওয়ার আকাঙ্খার কারণেই এই পরিণতি তাঁর মেয়ের। 

এদিন মেয়ে হারানোর শোকে বিহ্বল মঞ্জুষার মা বলেন, ‘অভিনয় শেখার পর কিছু কাজ পেয়েছে। বেশি মডেলিং করত। কিন্তু তাড়াতাড়ি উপড়ে উঠতে চেয়েছিল। বাড়ি, গাড়ি, টাকা-সহ সব তাড়াতাড়ি করার লোভই মেয়েকে কেড়ে নিল। আমি ওকে অনেকবার বুঝিয়েছিলাম।’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদিশার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। কাজের সূত্রেই তাঁদের পরিচয়। মঞ্জুষার মায়ের দাবি, বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী-মডেল। মাকে অনেকবার সেকথা জানিয়েওছিলেন। মঞ্জুষা নাকি তাঁর মাকে এও বলেছিলেন যে, বিদিশা এবং পল্লবীকে নিয়ে যেভাবে আলোচনা হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই তাঁকে নিয়েও আলোচনা হবে। একথা শুনে মেয়েকে বকাবকিও করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে মেয়ে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা তিনি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। 

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে বলেছিল আমিও মরে যেতে চাই। আমি চলে যাব, তোমরা শান্তিতে থেকো। মৃত্যুকে ইয়ার্কি ভেবেছিল। ওর প্রচন্ড রাগ ও জেদ ছিল। ৬ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ওর কোনও কিছুর অভাব ছিল না। কালও বার বার বলছিল, আমিও মরে যাব। শেষপর্যন্ত আমার বাড়িতেই আত্মহত্যা করল। মডেলিং ও সিরিয়াল করত। তবে এখন তেমন কোনও কাজ ছিল না। রেস্তরাঁয় খেতে ভালোবাসত। কালও বাঘাযতীনে ফটোশ্য়ুট করে আসে। রাতে খাওয়াদাওয়াও করে। রাতে অনেক দেরি করে ঘুমোত। রাত ২টো-আড়াইটে অবধি ফোনে গল্প করত। কালও সারারাত ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলে।’

মঞ্জুষার মা আরও জানিয়েছন যে, বিয়ের আগে সল্টলেকের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সে সম্পর্ক টেকেনি। তখনও মঞ্জুষা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তাঁর স্বামীর সঙ্গে পরিচয় এবং প্রেম করেই ৬ মাস আগে বিয়ে হয় তাঁদের। অভিনেত্রী অল্পতেই রেগে যেতেন  বলেও তাঁর মায়ের দাবি। 
মঞ্জুষার মায়ের আরও দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যন্ত ভাল। তাঁর কথায়, ‘মেয়ের দোষেই মেয়ে গিয়েছে। সম্পর্কে কোনও সমস্যা ছিল না। কোথাও কোনও সমস্যা ছিল না।’ থানায় যাবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।