রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

SSC দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেফতারি! CBI-এর জালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৫:১৮ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ১১:১৮ পিএম

SSC দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেফতারি! CBI-এর জালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য
SSC দুর্নীতি মামলায় ফের গ্রেফতারি! CBI-এর জালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আবারও গ্রেফতার এক। এবার সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তিনি এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এই নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৬। এই প্রথম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

জানা গিয়েছে, একাধিকবার কলকাতায় তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গত ২৪ আগস্ট তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট সিল করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগও তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

উল্লেখ্য, এই মামলায় এর আগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি কমিটির উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। এর আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। দফায় দফায় উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি তাঁর প্রশাসনিক ভবন থেকে আবাসনেও হানা দিয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

একসময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন এই সুবীরেশ ভট্টাচার্য। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন তিনি। তবে, এর আগে সুবীরেশ ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ‘আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।’ এর পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘সিবিআই-কে জিজ্ঞাসা করুন।’ অনুমান করে হচ্ছে, নিজাম প্যালেসে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।

অন্যদিকে, এদিনই এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে চার্জশিট প্রকাশ করেছে ইডি। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা পার্থ এবং অর্পিতারই। তদন্ত শুরুর ৫৮ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। দুটি ট্রাঙ্ক ভরতি করে সেই চার্জশিট সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইডি-র বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৫ কোটি ৮ হাজার টাকার সোনা। মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।