রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

‘কলকাতায় একটা আসনও পাবে না বিজেপি’! এবার নিজের দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দিলীপ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২২, ১০:১৬ এএম | আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৪:২৩ পিএম

‘কলকাতায় একটা আসনও পাবে না বিজেপি’! এবার নিজের দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দিলীপ
‘কলকাতায় একটা আসনও পাবে না বিজেপি’! এবার নিজের দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দিলীপ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার নিজের দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, একের পর এক বিরুদ্ধ মন্তব্য করার জেরে অবশ্য সবসময়ই খবরের শিরোনামে থাকেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, শহর কলকাতায় যে অব্যবস্থা চলছে তারপরেও এই শহরের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেবে। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছেন যে, ‘বিজেপি কলকাতায় কবে সিট পেয়েছে? কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। নিজের সুবিধা নিয়েই থাকে। গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। তারা নিজেরা নিজেদের নিয়ে থাকেন। আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। কারও যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালিদের এটাই ক্যারেকটার। কালিঘাটের কাছে থাকি। আনন্দে থাকি। ভিখারি হয়ে থাকি। কিচ্ছু যায় আসে না। পুজোর টাকা পেয়ে খুশি থাকি।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে ঘোষণা করেছেন যে, এবার ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছেন, এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলেও ছাড় মিলবে। এই প্রসঙ্গে সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার অনুরোধও করেছেন তিনি ইতিমধ্যেই। এদিকে, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বড় করে মেলা, খেলা, পুজো। আমরা কেষ্ট -পার্থর নাম ভুলে যাব। এভাবেই খয়রাতি চলবে। আমরা পুজোয় ৬০ হাজার আর বাকি ৫০০টাকায় সব ভুলে যাবো।’

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল পৃথক দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে এই মুহূর্তে জেলে। তবে, দিলীপ ঘোষের মতে, তা নিয়ে রাজ্যবাসীর মাথাব্যথা নেই বিন্দুমাত্র। তিনি বলেছেন, ‘পঞ্চায়েত দূরের কথা। এখন বাঁচাও সাধু বাবা চলছে। সব ভুলিয়ে দেওয়ার চাল। ভাববেন না ইলেকট্রিক বিল কম হবে। আসলে সেই বোঝা আমাদের ওপর চাপবে।’

এছাড়া এদিন ১০০ দিনের টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘টাকা দেবে না তো। আমরাই দিতে বারণ করেছি। টাকার হিসেব না দিলে টাকা দেবে না। হিসেব দিন, টাকা নিন।’

অন্যদিকে, সিবিআই নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য এবং তারপর সোমবারের বৈঠক বিতর্কের পর রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠছে সিবিআই মন্তব্যের জেরেই কি বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে ‘ব্রাত্য’ দিলীপ ঘোষ! তিনি কি ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছেন দলে? এই বিষয়ে খোদ দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, ‘আমি কি রাজ্য কমিটিতে আছি? নেই তো। তাহলে সেই বৈঠকে আমি থাকব কেন?’ গতকালই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৈঠকে দিলীপের না থাকা নিয়ে বলেছিলেন, ‘হয়তো কোনও কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তাই হয়তো আসেননি। মিটিং শুরু হওয়ার পর অনেক সময় দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেজন্য হয়তো বুঝতে পারেননি কোথাও মিটিং হচ্ছে’। তবে, দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘সুকান্তর জানা নেই, আমাকে কোর কমিটির মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল। রাজ্য কমিটির মিটিংয়ে নয়।’ তবে, এখনও সিবিআই নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড় দিলীপ।