বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শহর কলকাতা। আর সেই বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল নির্যাতনের অভিযোগ। এমনকি এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশকর্মীর কামড় দেওয়ার মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে এদিন কথা বলতে গিয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘সরকার সবাইকে কামড়াচ্ছে। অথৈ জলে পড়েছে। ডিএ নেই। ধরনা চলছে। চাকরি নেই। বেতন নেই। সবকিছু হাতের বাইরে চলে গেছে। আর সামলানোর ক্ষমতা নেই। পুলিশ এখন তৃণমূলের ক্যাডার।’
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বুধবারের বিক্ষোভে পুলিশের আচরণ এবং ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আরও বলেন যে, ‘পুলিশের প্রতি মানুষের ব্যবহারও পাল্টে যাচ্ছে। মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে। সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেছে। পুলিশকে দিয়ে এখন তোলা তোলানো হচ্ছে। গরুর টাকা উঠছে। পুলিশের কাজ কী আমরা ভুলে গিয়েছি। আমাদের নবান্ন অভিযানে তো পুলিস সাঁতরাগাছি স্টেশনে ঢুকে কাঁদানে গ্যাস চালিয়েছে। পুলিশ ঢুকতেই পারে। পুলিশও মরিয়া হয়ে গিয়েছে তৃণমূলকে বাঁচাতে।’
অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৬০০ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। এটা কি শ্রেয়? একটা পরীক্ষা ঠিক করে নিতে পারেন না। একটা চাকরি দিতে পারেন না। কেউ দাবি করলে, তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে পুলিশ। এখানে জঙ্গি ঘাঁটি হচ্ছে। তাদের ধরতে পারে না। এই নিরীহ ছেলে মেয়েগুলোকে দমিয়ে রাখছে!’
আবার এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণের জন্য মুড চেঞ্জ করার জন্য উনি কখনও চেন্নাই যাচ্ছেন। কখনও দার্জিলিং যাচ্ছেন। সবকিছু হাটের আইরে চলে গিয়েছে। আর কিছুই করার নেই।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লালবাজার। এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে। দিনভর অব্যাহত থাকে উত্তেজনা। রক্তপাতও হয়। সপ্তাহ তিন আগে ঘটে যাওয়া সেই একই চিত্র ধরা পড়ে বুধবারও। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দফতরের সামনেও চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এমনকি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও কামড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই পুলিশকর্মী। পুলিশের দাবি, যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতেও নাকি কামড়ে দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারী।
আপনার মতামত লিখুন :