শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

চিকিৎসকদের সুপারিশে প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থর জন্য বরাদ্দ হল খাট! মেঝেতেই শুচ্ছেন অর্পিতা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২২, ১১:০২ এএম | আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২২, ০৫:১৮ পিএম

চিকিৎসকদের সুপারিশে প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থর জন্য বরাদ্দ হল খাট! মেঝেতেই শুচ্ছেন অর্পিতা
চিকিৎসকদের সুপারিশে প্রেসিডেন্সি জেলে পার্থর জন্য বরাদ্দ হল খাট! মেঝেতেই শুচ্ছেন অর্পিতা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আদালতের নির্দেশে শুক্রবার রাত থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নয়া ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল। সেখানে তাঁকে বাকি বন্দিদের মতোই শুতে হচ্ছিল মেঝেতে। জেল থেকে তাঁর জন্য বরাদ্দ হয়েছিল কম্বলও। কিন্তু, প্রথম রাত প্রেসিডেন্সি জেলে নিজের সেলে বেশিরভাগ সময়ই কমোডে বসে ঝিমিয়ে কাটিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে, একটু দূরেই আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে মেঝেতে শুয়েই কাটাচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। 

রক্ষীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, মাঝে মাঝেই কান্নাকাটি করছিলেন অর্পিতা। ভালো ঘুম হয়নি তাঁর। আদালতের নির্দেশের পর ইডি-র হেফাজত থেকে জেল হেফাজত হয়েছে পার্থ এবং অর্পিতার। জেলের অন্যান্য সাধারণ বন্দিদের মতোই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ হয় চারটি কম্বল। এদিকে, প্রথম রাত মেঝেতে শুয়ে ও বসেই কাটানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাতে তাঁর খুবই অসুবিধা হচ্ছিল শারীরিক স্থুলতার জন্য। 

চেহারার কারণে শোয়া অবস্থা থেকে বসতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর। জেল সূত্রে খবর, মাঝ রাতের পর থেকেই অসুবিধার কারণে প্রাক্তন মন্ত্রী সেলের ভিতরে সামান্য উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা কমোডের উপরে বসেই বাকি রাত কাটান। সেখানে বসে ঘুমোতে না পারলেও, খানিয়ে ঝিমিয়ে নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনই রিপোর্ট জেলের রক্ষীদের। 

এরপর, শনিবার সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রক্ষীকে দিয়ে জেল হাসপাতালের চিকিৎসককে সেলে আসতে বলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ডাক্তার প্রণবকুমার ঘোষ প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করে দেখেন, শারীরিক অন্যান্য প্যারামিটার ঠিকই ছিল। আর তখনই নিজের স্থূলতার কথা উল্লেখ করে, চিকিৎসককে মেঝেতে শোয়ার অসুবিধার কথা জানানোর পাশাপাশি একটি খাটের আবেদন জানান। এরপরই মানবিক কারণে জেলের তরফে সংশোধনাগারের বিধি মেনে, চিকিৎসকের সুপারিশ কারা দপ্তরের হেড অফিস জেশপ বিল্ডিংয়ে জানানো হয়। এরপর জেল কোডের সবদিক খতিয়ে দেখে, শনিবার সন্ধের দিকে পার্থর জন্য খাট বরাদ্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্সি জেলের যে ওয়ার্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন সেখানেই রয়েছেন আফতাব আনসারি, ছত্রধর মাহাতো। তবে, এখনও কারও সঙ্গেই দেখা হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কারণ যে সময় অন্যদের জন্য সেলের তালা খোলা হচ্ছিল তখন পার্থর সেল বন্ধ রাখা ছিল। আবার যে সময় অন্যরা ভেতরে ছিলেন, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাইরে আনা হচ্ছিল। সেই কারণেই প্রথমদিন কোনও বন্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিকে, শনিবার বেলার দিকে, নিজের সেল থেকে বেরিয়ে জেলের কোড মেনে এক মহিলা আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। 

জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ব্রেকফাস্টে চা-পাউরুটি খেয়েছেন পার্থ। এরপর দুপুরের খাবারে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল ভাত-ডাল ও সবজি। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল কর্মীদের জানিয়ে দেন যে, তিনি দুপুরে ভাত খান না। তাই ফের তিনি চা-পাউরুটি চেয়ে পাঠান। তাই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জন্য দুপুরেও বরাদ্দ হয় সকালের খাবার চা-পাউরুটি। সন্ধের সময় খান চা-বিস্কুট। অন্যদিকে, অর্পিতা সারাদিন কার্যত কিছু না খেয়েই কাটাচ্ছেন।