ব্রেন স্ট্রোকে প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা! পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

ফের দুঃসংবাদ রাজনৈতিক মহলে। জীবনে বসানো হলো রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তার মৃত্যুতে সমস্ত সরকারি দপ্তরের বেলা দুটোর পর ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দিন কয়েক আগে গলব্লাডারের অপারেশন হয় তাঁর। বুধবারই কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে ফেরেন তিনি। কিন্তু ফের রাতেই অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন সকালে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মন্ত্রী।

জানা গিয়েছে এদিন আচমকা বুকের ব্যথা শুরু হয় রাজ্যের উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহার। এরপরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই সকাল ১০.৪০ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল তার।

তার মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকবার্তা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।  মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘির তিন বারের বিধায়ক সুব্রতবাবু পূর্ত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সুব্রত সাহার প্রয়াণে রাজনৈতিক  জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি  সুব্রত সাহার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের  আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি"।

২০১১ সালে সাগরদিঘি থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। টানা ৩ বার ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন তিনি। সুব্রতের মৃত্যুতে শোকের ছায়া জেলার রাজনৈতিক মহলে। এক সময় কংগ্রেসে ছিলেন তিনি। পরে তিনি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে।কিছুদিনের জন্য মৎস্য দফতরের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।