শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২২, ০৩:৪২ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২২, ০৯:৫২ পিএম

নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের
নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নবম ও দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার নতুন করে এফআইআর দায়ের করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

এখানেই শেষ নয়, আগামিকালের মধ্যেই প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকদের। পাশাপাশি আদালতের পক্ষ থেক এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, প্রয়োজন মনে করলে এসএসসি’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।

এদিন আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে এমনকি কোনও রাজনৈতিক নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। এমনকি সিবিআই-এর তদন্তকারীরা প্রয়োজন মনে করলে, কমিটির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন। এছাড়াও আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘সিবিআইয়ের সামনে উপদেষ্টা কমিটির বাকি সদস্যরা যা বয়ান দিয়েছেন তার সঙ্গে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বয়ান মিলছে না।’ পাশাপাশি বিচারপতি আরও বলেন যে, ‘আদালতের সামনে শান্তিপ্রসাদ সিনহা একাধিকবার বলেছেন যে, উপদেষ্টা কমিটির কোনও বৈঠক হয়নি। তিনি মিথ্যা বলেছেন। তবে, এই মামলায় দেখা যাচ্ছে যে, ওই কমিটির অন্তত দুটি বৈঠক হয়েছিল বা তার বেশিও হয়ে থাকতে পারে।’

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন যে, ‘তাহলে কেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা বারবার মিথ্যে কথা বলেছেন?’ আদালত আরও জানিয়েছে যে, মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের ঘরে উপদেষ্টা কমিটির কোন বৈঠক হয়েছিল কিনা বা মিটিং সম্পর্কে মন্ত্রী কিছু জানতেন কিনা, সেটা তদন্ত সাপেক্ষে। সিবিআই মনে করলে প্রয়োজনে তাও খতিয়ে দেখতে পারে।

এদিন যদিও সরকারি আইনজীবী আদালতে আবেদন জানিয়েছেন যেন রাজ্যকে তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি আবেদনে বলেন, ‘রাজ্যকে তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হোক। যদি কোনও বৈঠক হয়েও থাকে, তাহলে তা মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের চেম্বারে হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু মন্ত্রী এ বিষয়ে কিছু জানতেন না।’ তবে, সরকারি আইনজীবীর কথায় বা আবেদনে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।