শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪

গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত রিপোর্টে কল্যাণময় ও শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে FIR-এর সুপারিশ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২২, ০৪:২৭ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১১, ২০২২, ১০:২৭ পিএম

গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত রিপোর্টে কল্যাণময় ও শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে FIR-এর সুপারিশ
গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় তদন্ত রিপোর্টে কল্যাণময় ও শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে FIR-এর সুপারিশ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হল। এই রিপোর্ট পেশ করল বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্টে রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গঠন করা উপদেষ্টা কমিটি বেআইনি বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহা সরাসরি যোগ রয়েছে বলেই জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।  

বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদন নিয়ে গঠিত ৫ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি বেআইনি। এই কমিটির সদস্য কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তিপ্রসাদ সিনহা সরাসরি দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ১২০ বি বি ধারায় দ্রুত এফআইআর দায়ের করার উচিত। এছাড়াও সমরজিৎ আচার্য, সৌমিত্র সরকার, অলোক কুমার সাহার বিরুদ্ধেও FIR হওয়া উচিত বলেই তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এখানেই শেষ নয়, উক্ত তদন্ত রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে যে, কমিটির একাধিক সদস্য ভুয়ো নথি তৈরিতে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা মোট ৬০৯ টি সুপারিশ পত্র দিয়েছিলেন। তার হিসাব রাখার জন্য আলাদা রেজিস্টার খাতাও তৈরি করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, এস এস সি’র ৫ অধিকর্তার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এই কমিটির সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনও যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে রিপোর্টে। 

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় তদন্ত কমিটি। উক্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, চেয়ারম্যানকে অন্ধকারে রেখেই দেওয়া হত এই সুপারিশপত্র। বাগের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসএসসির কর্মী-আধিকারিক সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শর্মিলা মিত্র, মহুয়া বিশ্বাস, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এফআইআর দায়ের করারও সুপারিশ করেছে এই তদন্তকারী কমিটি।

এখানেই শেষ নয়। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভুয়ো সুপারিশপত্রগুলি শান্তিপ্রসাদ সিনহা নিজে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়েছিলেন। আবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগপত্র ছাপার ব্যাপারে রাজেশ লায়েক বলে এক কর্মীকে নির্দেশ দিতেন। বিচারপতি বাগের কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে, এই নিয়োগপত্রগুলি পর্ষদের অফিস থেকে না দিয়ে এসএসসির নবনির্মিত ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, আইনজ্ঞরা মনে করছেন যে, এই রিপোর্টে বেশ কিছুটা চাপ বাড়ল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপরে।