সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

‘পশ্চিমবঙ্গ এমন রাজ্য যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না’! মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ০৮:০২ পিএম | আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০২:৩৮ এএম

‘পশ্চিমবঙ্গ এমন রাজ্য যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না’! মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
‘পশ্চিমবঙ্গ এমন রাজ্য যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না’! মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগের মাত্র ৪ মাসের মধ্যে চাকরি হারান মুর্শিদাবাদের শিক্ষক মিরাজ শেখ। এরপরই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়দানের আগে শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

মুর্শিদাবাদে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন মিরাজ শেখ। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই শিক্ষক পদে তিনি জগ দেন। কিন্তু চার মাসের মধ্যেই সার্ভিস বুক তৈরির সময়ই তাঁর চাকরি বাতিল করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এবার সেই ব্যক্তিকেই চাকরি ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এদিন ওই মামলায় বরখাস্ত হওয়া শিক্ষককে দ্রুত চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

তার পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া মন্তব্য, ‘মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেননি। তাই হয়ত মামলাকারীর চাকরি বাতিল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, ‘চারমাস চাকরি করার পর চাকরি বাতিল কীভাবে? নিয়ম না থাকলে, নিয়োগের আবেদনপত্র গ্রাহ্য হল কীভাবে?’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিরাজ শেখ নামে এক ব্যক্তি মুর্শিদাবাদে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ৪ মাস শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে চাকরি হারান তিনি। কারণ, সার্ভিস বুক তৈরির সময় মিরাজ শেখের চাকরি বাতিল করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এরপর এই বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদ ডিপিএসসি জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক বোর্ডের গাইড অনুযায়ী, সংরক্ষিত পদের জন্য স্নাতক স্তরে অনার্সে ৪৫ শতাংশের কম নম্বর থাকলে চাকরি করা যায় না। উল্লেখ্য, সাধারণ পদের জন্য স্নাতক স্তরে অনার্সে ৫০ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন হয়।

কিন্তু এদিন আদালতে জানান হয় যে, এদিকে মামলাকারী মিরাজ শেখের স্নাতক স্তরে প্রাপ্ত নম্বর ৪৬ শতাংশ। তা সত্ত্বেও মিরাজ শেখের চাকরি বাতিল হয়ে যায়। এরপরই মিরাজ শেখকে দ্রুত বাতিল হওয়া চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নিরদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ৬ মাস পর আবার সেই চাকরিতে মিরাজকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিল আদালত।