শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

অকল্পনীয় দুর্নীতি, যা শিহরিত করবে মানুষকে! টেট দুর্নীতিতে CBI-র রিপোর্ট দেখে অবাক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

মৌসুমী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২, ০৭:১৫ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০১:১৫ এএম

অকল্পনীয় দুর্নীতি, যা শিহরিত করবে মানুষকে! টেট দুর্নীতিতে CBI-র রিপোর্ট দেখে অবাক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
অকল্পনীয় দুর্নীতি, যা শিহরিত করবে মানুষকে! টেট দুর্নীতিতে CBI-র রিপোর্ট দেখে অবাক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

"অকল্পনীয় দুর্নীতি, যা সাধারণ মানুষকে শিহরিত করবে"। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্ট দেখে কার্যত এমনটাই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, এদিন তাঁদের তদন্ত সঠিক গতিতে এগোচ্ছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, অতীতে টেট মামলায় ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

নিয়োগ দুর্নীতি দিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরমধ্যেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক নির্দেশ তাতে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। এর মধ্যে সিবিআইকে বলা হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের ওয়েমার শীটের ফরেনসিক রিপোর্ট ও স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে। সেই মতোই এদিন এই দুই রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে সিবিআই।

সেই রিপোর্ট দেখেই কার্যত অবাক হয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করেন, "অকল্পনীয় দুর্নীতি,যা সাধারণ মানুষকে শিহরিত করবে"। সিবিআইয়ের ওই পেশ করা রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে, পরীক্ষা না দিয়েই নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরিতে ঢোকানো হয়েছে বহু মানুষকে। দ্রুতই এর তদন্ত শেষ হবে। সিবিআইয়ের তদন্ত একেবারে সুনির্দিষ্ট পথে এগোচ্ছে।

কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা করে একজন চাকরি প্রার্থী দাবি করেন, ওয়েমার শিটে তার উত্তরের জায়গায় কিছু গড়মিল করা হয়েছে। সেখানে তিনি তার উত্তরপত্রটি খতিয়ে দেখার আবেদন জানান এবং একই সঙ্গে জানান যে পেন দিয়ে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন সেই পেনটি তিনি সংরক্ষণ করে রেখেছেন। এরপরেই উত্তরপত্র ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও, দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। 

এদিকে যেসব নথি ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে সেই সমস্ত নথি জাল বলে রিপোর্ট এসেছে। এদিন আদালতে ওয়েমার শীটের ফরেন্সিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তবে দিল্লির সিএফএসএল এর সেই সমস্ত রিপোর্টে ওই কাগজ কবে তৈরি করা হয়েছে, তার ইঙ্গিত এখনো মেলেনি।