মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

চাকরিপ্রার্থীকে কামড়! কামড় কাণ্ডে এবার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ লাল বাজারের

মৌসুমি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২, ০৭:১০ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২২, ০১:১০ এএম

চাকরিপ্রার্থীকে কামড়! কামড় কাণ্ডে এবার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ লাল বাজারের
চাকরিপ্রার্থীকে কামড়! কামড় কাণ্ডে এবার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ লাল বাজারের

এক্সাইডে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে অরুনিমা পাল নামে এক চাকরি প্রার্থীর হাতে কামড়ে দিয়েছে অপর এক মহিলা পুলিশ কর্মী। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরফে পরীক্ষা করে জানানো হয়েছে ওই মহিলার হাতে যে কামড়ের দাগ রয়েছে তা মানুষেরই কামড়। এর পরই নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিল লালবাজার।

এদিকে, যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তাঁর নাম ইভা থাপা। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে আক্রান্ত আন্দোলনকারীর প্রথমে কোনও চিকিৎসাই করা হয়নি। রক্তাক্ত, যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা প্রার্থীকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় এবং কোনও ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। উলটে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।  লালবাজার সুত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সাউথ (২) বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় কে। কি পরিস্থিতিতে? কেন এই ঘটনা ঘটলো সেই গোটা বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এছাড়াও কেন ঐ মহিলা পুলিশ কর্মী এমন ঘটনা ঘটালেন তাও খতিয়ে দেখবেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক। কথা বলবেন অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীর সঙ্গেও এরপর সেই ভিত্তিতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে লালবাজার।

গত বুধবার এক্সাইডে চাকরির দাবিতে ২০১৪ এর টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুড এর চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এরপর বেলা বাড়তি পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা। আন্দোলনে বাধা দেয় পুলিশ। ধরপাকড় করে আন্দোলন ঘটিয়ে দিতে শুরু করে পুলিশ অফিসাররা।

এই ধরপাকর চলার সময়ই হঠাৎই এক মহিলা পুলিশ কর্মী এসে কামড়ে দেন অরুনিমা পালের হাতে। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বের হতে শুরু করে ক্ষতস্থান থেকে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকে সমর্থন করেছেন শাসকদলের কিছু নেতা। তাদের অবশ্য যুক্তি আত্মরক্ষা করতে গিয়েই মহিলা পুলিশ কর্মী এই আক্রমণ করেছেন। এদিকে এই ঘটনায় এদিন সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান অরুনিমা পাল। সেখানে তার চিকিৎসার পর হাসপাতাল রিপোর্ট দিয়ে জানায় তার হাতে যে ক্ষতস্থান তৈরি হয়েছে তা মানুষের কামড়ের ফলেই হয়েছে।