শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ বরদাস্ত করব না! ট্যুইটে সরব মুখ্যমন্ত্রী

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২, ০২:৪৩ পিএম | আপডেট: জুন ১১, ২০২২, ০৮:৪৩ পিএম

‘পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ বরদাস্ত করব না! ট্যুইটে সরব মুখ্যমন্ত্রী
‘পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ বরদাস্ত করব না! ট্যুইটে সরব মুখ্যমন্ত্রী

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাওড়ায় অশান্তি ক্রমশই চরম আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী সোমবার ভোর ৬ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ট্যুইট করে কড়া বার্তা দেন তিনি। ‘এসব বরদাস্ত করব না’, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর।

শনিবার একটি ট্যুইট করে তিনি লেখেন, ‘আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়-কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ ট্যুইট থেকেই স্পষ্ট, নুপুর শর্মা বিতর্কে দেশজুড়ে যে অশান্তি চলছে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জনতা পার্টিতেই দায়ী করেছেন।

শুক্রবার থেকেই পাক সার্কাস, হাওড়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। রাস্তা বন্ধ করে চলে লাগাতার অবরোধ। লাইন দিয়ে আটকে পড়ে বাস, গাড়ি। উলুবেড়িয়ার বানিতবলা চেকপোস্ট এলাকায় পুলিসের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। আগুন জ্বালানো হয় পুলিশের গাড়িতেও। এমনকি মহকুমাশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় সোমবার পর্যন্ত হাওড়ার একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। হাওড়া জেলাশাসক জানিয়েছেন, ডোমজুড়, সাঁকরাইল, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া, মনসাতলা, চেঙ্গাইল, নিমদীঘি, গঙ্গারামপুর, বাজারপাড়া, ফুলেশ্বর, রাজাপুর, কুর্চি শিবপুর, খালাতপুর, গড় ভবানীপুর, উদয়নারায়ণপুর, বাগনান এলাকার বেশ কিছু জায়গা সহ আরও বেশ কিছু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

এই সমস্ত অঞ্চলে চলছে লাগাতার পুলিশি টহলদারি। এর পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। প্রশাসন সূত্রে খবর, কোনও ব্যক্তি যদি অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনরকম গুজব ছড়ালেও তার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত বাংলার সম্প্রীতি ও সংহতির পথে কোনও অশান্তি যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “দিল্লিতে কিছু ঘটলে বাংলায় কেন ঝামেলা করতে হবে? আমরা বাংলায় রাস্তা অবরোধ করতে দিইনা, বনধ করতে দিই ষনা। দিল্লির দুটো বদমাইশ কী বলল তা নিয়ে বাংলায় ঝামেলা করার দরকার নেই। বিজেপি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে গিয়ে করুন।”

যদিও দেশজুড়ে অশান্তি প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হলে অথবা তাতে ইন্ধন যোগালে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই শান্তি বিঘ্নিত করার অপরাধে যোগী রাজ্যে ২২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলায় অশান্তি ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত মতামত পোষণ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেই অধিকার ফলাতে গিয়ে যদি রাষ্ট্রের কোনও ক্ষতি হয় তাহলে সেই বিষয়ে প্রশাসন অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে পারে। এই বিবৃতি দিয়ে অশান্ত পরিবেশ শান্ত করতে তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন।