শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘পোকা’ হলে সমূলে বিনাশের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর! দুর্নীতি রুখতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মমতার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩, ০৩:৫৪ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ২, ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম

‘পোকা’ হলে সমূলে বিনাশের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর! দুর্নীতি রুখতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মমতার
‘পোকা’ হলে সমূলে বিনাশের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর! দুর্নীতি রুখতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মমতার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের সংগ্রামের দলের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দুর্নীতি রুখতে দল যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেবে বা নিচ্ছে সেকথাও ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন নিজের বার্তার মধ্যে দিয়ে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নজরদারি রাখতেই হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা আগে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেত। এখন সরাসরি চলে যায়। ফলে আমাদের নজর রাখতে হয়। মনিটরিংয়ের সিস্টেম খুব কম রয়েছে। আমি দুয়ারে সরকার অনুষ্ঠানে BDO-সহ সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে সংযোগ রাখি। একটা পোকা ধানে যদি জন্মায়, তা সমূলে বিনাশ না করলে, পুরো ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আর পোকা জন্মালে তাকে অ্যালার্ট করতে হবে। সময় দিয়ে বলতে হবে, নিজেকে সংশোধন করো, না হলে অন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমিও কিন্তু দলের ঊর্ধ্বে নই। আমাকেও মানুষের জন্য কাজ করতে হয়।’

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। আজ ২৫ বছর পূর্ণ করেছে দল। বহু খুন, হামলা হয়েছে। গুলির ফোয়ারা দেখতাম আমরা। অনেক কর্মীকে আমরা হারিয়েছি। অনেক সমর্থকও হারিয়েছি। জীবনের এক চতুর্থাংশ কেটে গিয়েছে সংগ্রাম করতে গিয়ে। রাস্তার পর রাস্তা পেরিয়েছি আন্দোলন করতে করতে। কিন্তু, লড়াই অব্যাহত থেকেছে। বিরোধী দল হিসেবেও আমরা গঠনমূলক কাজ করেছি। বিরোধী হিসেবে কখনও কিছু ধ্বংসাত্মক করিনি। আমরা যত এগোব, তত দায়বদ্ধতা বাড়বে। কে কী বলল না বলল, তা ইগনোর করে তৃণমূল কাজ করে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ১১ বছর হল মা মাটি মানুষের সরকার চলছে।’

অন্যদিকে, এদিন ফের বিরোধীদের আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দল তো আর হাতের মোয়া নয়। অনেককে দিয়ে বলা হয়েছিল কংগ্রেস ভেঙে বেরিয়ে যাবেন না। কিন্তু, আমরা শুনিনি। অনেক অপেক্ষা করেছিলাম। অনেক সহ্য করে তবে দল গঠন করেছি। এখন যেমন বাম রাম এক হয়ে গিয়েছে। তখন তেমনই ছিল তরমুজ। কংগ্রেস ছিল CPIM-এর বি টিম। আমরা কখনও সরাসরি বিজেপি করিনি। এখন এ সব অপপ্রচার চালানো হয়।’

আবার বিজেপিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খাব আর কেউ খাবে না। এটাই ওদের আদর্শ। শিক্ষা-রাজনীতি-ঐতিহ্য বদলে দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাস-ভূগোল পালটে দেওয়া হচ্ছে। শুভদিন আসবে, নতুন দিন আসবে। এই জীবনটা কিছু করে যাওয়ার জীবন। কিছু কাজ করে যাওয়া, যাতে চলে গেলেও মানুষ কাজটাকে মনে রাখবে। বিজেপির মতাদর্শ একটা ধর্মকে ভিত্তি করে। আমরা তা করি না। তৃণমূলের ইতিহাস পুরনোদের থেকে নতুনদের শিখতে হবে। পুরনোদের সম্মান দিয়ে নতুনদের কাজ করতে হবে।’