শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

৭ থেকে ৮ বার রেইকি করেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ ধৃত হাফিজুলের! গিয়েছিলেন বাংলাদেশেও

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২২, ০৪:৩৮ পিএম | আপডেট: জুলাই ১১, ২০২২, ১০:৩৮ পিএম

৭ থেকে ৮ বার রেইকি করেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ ধৃত হাফিজুলের! গিয়েছিলেন বাংলাদেশেও
৭ থেকে ৮ বার রেইকি করেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ ধৃত হাফিজুলের! গিয়েছিলেন বাংলাদেশেও

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্যা সামনে আসছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশে ধৃত হাফিজুল সম্পর্কে। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকার আগে ৭ থেকে ৮ বার রেইকি করেছিলেন ধৃত হাফিজুল। সারারাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লুকিয়ে থাকার আগের দিন ১০ আগেও নাকি একবার সেই এলাকা ঘুরে গিয়েছিলেন এই হাফিজুল। এবার অনুপ্রবেশে ধৃত হাফিজুল সম্পর্কে এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সোমবার আদালতকে অভিযুক্ত সম্পর্কে এমনই একাধিক তথ্য দিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। 

এদিন আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান যে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাফিজুলকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ১২০ বি ধারাতেও নতুন করে মামলা দায়ের হয়েছে। 
সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে এদিন জানান যে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার আগে ধৃত হাফিজুল ৭ থেকে ৮ বার রেইকি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির এলাকার ছোটদের চকোলেট, কোল্ডড্রিংঙ্কস খাইয়ে, তাদের থেকে খবর বের করারও চেষ্টা করেন তিনি।

অন্যদিকে, জানা গিয়েছে যে, হাফিজুলের কাছ থেকে ১১ টি সিম ব্যবহার করত। বাংলাদশে একাধিকবার ফোন করেছিলেন ধৃত হাফিজুল। হাফিজুল দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় নদী সাঁতরে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিলেন। কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন, সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে। আবার এ রাজ্যের বাইরে বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও ফোন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বেশ কিছু ছবি নিজের মোবাইলে তুলেছিলেন হাফিজুল। সেগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েও ছিলেন। তবে কাকে পাঠিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এসব থেকে তদন্তকারীদের অনুমান কোনও বড় ধরনের ষড়যন্ত্রকে বাস্তব রূপ দিতেই পরিকল্পনা করেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন হাফিজুল। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে গভীর রাতে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন হাফিজুল। সারা রাত সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন। পরের দিন সকালে ধরা পড়েন। সেই ঘটনার পর থেকে বাড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি এবং নবান্নর নিরাপত্তা। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে গঠিত হয় সিট। সেই মামলাতেই এবার আদলতে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ হল।