শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

পার্থর গ্রেফতারির পরই ১০০ টি ডাম্পারের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ! নেপথ্যে কী কারণ?

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২২, ০৮:৪৪ পিএম | আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২২, ০৩:৫৬ এএম

পার্থর গ্রেফতারির পরই ১০০ টি ডাম্পারের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ! নেপথ্যে কী কারণ?
পার্থর গ্রেফতারির পরই ১০০ টি ডাম্পারের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ! নেপথ্যে কী কারণ?

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর খুলছে একের পর এক জট। ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে তাঁর সম্পত্তির তালিকা। ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মিলছে আরও একাধিক সম্পত্তির হদিস। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২১ কোটি টাকাই শেষ নয়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং পার্লারও। এমনকি নতুন করে পাটুলি ও রাজডাঙায় দুটি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যেই ফের উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পূর্ব বর্ধমানের অন্তর্গত পালসিট টোলপ্লাজার ঠিক আগে আজাপুর গ্রামে গেলেই দেখা যাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি ডাম্পার। ইডি সূত্রে খবর, ১০০ টি ডাম্পারের মালিকানা রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে। এমনকি প্রতিটি ডাম্পারের গায়ে এতদিন পর্যন্ত ‘P’ লোগো লাগানো ছিল। কিন্তু মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর ডাম্পারগুলির চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও মুছে ফেলা হয়েছে লোগোগুলিও। জানা গিয়েছে, ওই এলাকারই দুই বাসিন্দা বাবলু এবং ডাবু ডাম্পারগুলির দেখভাল করতেন। তবে বর্তমানে তাঁরা পলাতক।

কী কাজে লাগানো হত ডাম্পারগুলি? সূত্রের খবর, জামালপুরের দুটি বালি খাদান এবং বর্ধমানের তিনটি বালি খাদান থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে তা ওই ডাম্পারগুলি করে পাঠানো হতো রাজারহাট ও সিঙ্গুরে। ইডি জানিয়েছে, প্রথমক্ষেত্রে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাবলু এবং ডাবু। তবে পরবর্তীকালে এই ব্যবসায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রচুর পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেন।

আজাপুর গ্রামে যেখানে ডাম্পারগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে একটি অফিসও ছিল। কিন্তু সেই অফিসও এখন তালা ঝুলছে। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সিঙ্গুরে বালি পাঠানো হলেও বর্তমানে সেই কাজও বন্ধ রয়েছে। ১০০ টি ডাম্পার কোথায়, কবে এবং কীভাবে কেনা হয়েছিল তা নিয়ে জেরা শুরু করেছে ইডি।

অন্যদিকে নতুন করে কলকাতায় দুটি ফ্ল্যাটের হদিস মিলেছে। জানা গিয়েছে, রাজডাঙ্গা এবং পাটুলিতে অবস্থিত ওই দুটি ফ্ল্যাটে প্রায়শই অর্পিতাকে নিয়ে উপস্থিত হতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পাটুলির ৯০০ স্কোয়ার ফুটের ফ্ল্যাটে শুটিং এবং মডেলিংয়ের কাজ চলত। এর পাশাপাশি নাকতলায় অর্পিতার নামে আরও একটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁদেরকে জেরা করতে ইডির পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে দুটি আলাদা দল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দফায় দফায় জেরা শুরু হয়েছে। প্রথমে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে পার্থ এবং অর্পিতাকে আলাদাভাবে জেরা করা হলেও পরে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।