সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

‘তালিকা অনুমোদন করেছে DD’! মানিকের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে দুই রহস্যজনক নাম

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২২, ০৪:৩১ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২২, ১০:৩১ পিএম

‘তালিকা অনুমোদন করেছে DD’! মানিকের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে দুই রহস্যজনক নাম
‘তালিকা অনুমোদন করেছে DD’! মানিকের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে দুই রহস্যজনক নাম

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছাতে চাইছে ইডি। জানা গিয়েছে, আজই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। এই মামলায় আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রে খবর, মানিকের মোবাইল থেকে যে কথোপকথন উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে রয়েছে দুই রহস্যজনক নাম পাওয়া গিয়েছে। বলা বহাল সংক্ষিপ্ত নাম, আর তা হল DD আর RK।

এদিকে, মানিককে গ্রেফতার করার পর, তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। সূত্রের খবর, সেই মোবাইল ঘেঁটে বের করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন। সেই কথোপকথনে RK নামের কারও সঙ্গে কথা বলেছেন মানিক। তাঁকে তিনি বলেছেন, ‘তালিকা অনুমোদিত হয়েছে, অনুমোদন করেছে DD।’ কিন্তু কে এই রহস্যময় ডিডি? তিনি কেনই বা তালিকা অনুমোদন করলেন? সেটাই এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, এর আগেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ভয়ঙ্কর নানা অভিযোগ উঠেছে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। টেটে সাদা খাতা দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি মেনে টেটের মেরিট লিস্ট বেরোয়নি বলেও অভিযোগ। প্রাইমারি বোর্ড প্রশ্নে ভুল থাকার পরেও সকলের নম্বর বৃদ্ধি করা হয়নি। এইসব অভিযোগের ভিত্তিতেই মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। যে নিয়োগের তালিকা নিয়ে মূল অভিযোগ, সেই তালিকা নিয়েই কি হোয়াটসঅ্যাপে মানিকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল? মানিককে জেরা করে এবার সেটাই জানতে চায় ইডি।

প্রসঙ্গত এর আগে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল যে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মোবাইল খতিয়ে দেখে তারা একটি মেসেজ খুঁজে পেয়েছে। যেখানে পার্থ কাউকে বলছেন, ‘মানিক ইজ টেকিং মানি, যা তা ভাবে।’ এখানেই শেষ নয়, পার্থকে পাঠানো অন্য একটি মেসেজে লেখা ছিল, ‘আবারও টাকা নিয়ে করবে, আবার কেস হবে, আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন, লাভ।’ এই মেসেজ আবার মানিকে ফরওয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। অর্থাৎ কেলেঙ্কারির বিষয়ে সব কথা জেনেও, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্রয় দিতেন, এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র আধিকারিকদের।