রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

অখিল গিরিকে বরখাস্ত করা হোক! রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে দাবি শুভেন্দুর

মৌসুমী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২২, ০২:২৮ এএম

অখিল গিরিকে বরখাস্ত করা হোক! রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে দাবি শুভেন্দুর
অখিল গিরিকে বরখাস্ত করা হোক! রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে দাবি শুভেন্দুর

এবার অখিল গিরিকে অপসারণ করার দাবিতে রাজ্য লা গণেশনকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্যেও সময় চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এই কুরুচিকর মন্তব্য করার পর অখিল গিরির মন্ত্রীর পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময়ও চেয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের চিঠির সেই ছবি টুইট করেছেন।

প্রসঙ্গত, গতকালই নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহীদ মঞ্চের একাংশ পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় পথে নেমেছিল তৃণমূল। সেখানে প্রতিবাদ সভাও করেন কুনাল ঘোষ, শশী পাঁজারা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করেন অখিল গিরি। একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কে আক্রমণ করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কে। তার রূপ নিয়ে কথা বলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক। আর এই নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।

কারা মন্ত্রী দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী অখিল গিরিকে কটাক্ষ করে নাকি বলেছেন, "হাফ প্যান্ট পড়া মন্ত্রী। কাকের মতো দেখতে।" এই মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে অখিলগিরি বলেন, "বলে দেখতে ভালো নয়, কি রূপসী? কি দেখতে ভালো? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ার কে আমরা সম্মান করি কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা"?

অখিল গিরির এই মন্তব্যের পরেই সরব হয়েছে বিজেপি। নন্দীগ্রাম থানায় তার নামে এফ আই আর দায়ের হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরের সামনে অখিল গিরির কোষ পুতুল ও দাহ করা হয়। এদিকে রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য কে যে রাজ্যের শাসক দল সমর্থন করে না সে বিষয়ও স্পষ্ট করা হয়েছে।

এদিকে নিজের এই মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত অখিল গিরি। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়ে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সঙ্গে এতবার কুমন্তব্য করেছেন যে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তিনি একথা বলেছেন। তবে এই মন্তব্যের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।