শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান, বিদ্যুতে বড় ছাড়! পুজো নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২২, ০৭:৫১ পিএম | আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২২, ০১:৫১ এএম

ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান, বিদ্যুতে বড় ছাড়! পুজো নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান, বিদ্যুতে বড় ছাড়! পুজো নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এবছর ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার পুজো অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। সঙ্গে ৫০ শতাংশ নয়, বিদ্য়ুত বিলে ৬০ শতাংশ ছাড়। নেতাজি ইন্ডোরে স্টেডিয়ামে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা সোমবারের বৈঠকে ঘোষণা করেন, এ বার ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলেও মিলবে ছাড়। সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকে পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সোমবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জেলার পুজো কমিটির কর্তারাও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার ভাঁড়ার শূন্য। বলুন কত হাজার টাকা দেব?’’ এর পরেই তিনি ঘোষণা করেন, গত বছরের থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদান বাড়ানোর কথা।

বৈঠকের শুরুতেই নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘অনেকে বড় বড় কথা বলেন। কলকাতায় দুর্গাপুজো হয় না। সরস্বতীপুজো হয় না। আমি বলছি, এমন পুজো কোথাও হয় না। এখানে এক বছর ধরে পরিকল্পনা হয়। কে স্বেচ্ছাসেবী হবেন, কে ফল কাটবেন, সব পরিকল্পনা করে রাখা হয়। এখন থিমের পুজো। কোন ক্লাব কাকে দিয়ে পুজো করাবে, সে সব নিয়েও এক বছর ধরে পরিকল্পনা চলে।’’

UNESCO-র কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির দুর্গোৎসব। গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় ‍‍`কলকাতার দুর্গাপুজো‍‍`-কে। কৃতিত্ব কার? রাজ্যে পুরভোটের প্রচারে ইউনেস্কো স্বীকৃতি‍‍`কে হাতিয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  

এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বার পুজো শুরু হয়ে যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। কেমন পুজো হচ্ছে দেখতে, দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসবেন। তাই ১ সেপ্টেম্বর আমরা মিছিল করব। এ বারের মিছিল রাজনৈতিক নয়। কে কত সম্প্রদায়কে পাশে নিয়ে সুন্দর করে কাজ করতে পারে, সেটাই দেখা যাবে মিছিলে। সেখানে একা এলে হবে না। কার্নিভালে যেমন সবাই আসে, তেমন সকলকে নিয়ে আসতে হবে। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ দেব।’’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,  “১ সেপ্টেম্বর মিছিল হবে। রাজনৈতিক কারণে মিছিল নয়, ওই মিছিল থেকে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাব। দুপুর ২টো জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে জমায়েত হবে। শাঁখ. বাঁশি যে যেমন পারবেন, সেভাবেই মিছিলে শামিল হবেন। স্কুলে ছাত্রছাত্রীরাও থাকবে‍‍`। জানান, ‍‍`বিসর্জন হবে  ৫. ৬.৭, ৮ তারিখ। জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল হবে ৭ তারিখ। কলকাতা পুজো কার্নিভাল হবে ৭ তারিখ।” শুধু তাই নয়, এবার পুজোয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ১০ দিন সরকারি কর্মীদের ছুটিও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।