সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণে বাধা বিজেপির! গণতন্ত্রের লজ্জা, বললেন মমতা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২২, ০৫:৫৩ পিএম | আপডেট: মার্চ ৮, ২০২২, ১২:৩৭ এএম

বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণে বাধা বিজেপির! গণতন্ত্রের লজ্জা, বললেন মমতা
বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণে বাধা বিজেপির! গণতন্ত্রের লজ্জা, বললেন মমতা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই তীব্র উত্তজেনার সৃষ্টি হল। পুরভোটে শাসকদলের সন্ত্রসাসের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির বিধায়করা। রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করতেই, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। 

এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা সবাই স্লোগান দিতে শুরু করেন যে, ‘ছাপ্পা ভোটের সরকার আর নেই দরকার, ভারত মাতা কী জয়।’ বিধানসভায় অত্যাধিক চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে নিজের ভাষণই পড়তে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিধানসভা অধ্যক্ষ এবং মুখ্যমন্ত্রী উভয়েই বিজেপি বিধায়কদের শান্ত হতে বললেও, তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি বিজেপি বিধায়করা। এই ঘটনা নিয়েই এবার প্রতিবাদে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিন বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, শেষে রাজ্যপাল তাঁর ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে বিধানসভা ত্যাগ করেন। এর পর পরই বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘বিরোধীরা স্লোগান দেয়, বিক্ষোভ করে ঠিক কথা, কিন্তু কখনও রাজ্যপালের ভাষণ বন্ধ হয়নি। এটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আমরা একঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আমাদের বিধায়করা কেউ কোনও কথা বলেনি। স্পিকার শান্ত হওয়ার আবেদন করেছেন। আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি।’

অন্যদিকে, বিজেপির বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বিজেপি যা করেছে, তা ঠিক করেনি। এটা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জা। রাজ্যপাল তাঁর ভাষণ না পড়েই চলে যাচ্ছিলেন। সেটা হলে, তাহলে তাতে সাংবিধানিক সমস্যা হত। তা এড়ানোর জন্যই আমাদের বিধায়করা বারবার রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন ভাষণ পড়ার। তারপরেই উনি আমাকে বলেন, সবাইকে বসাও, আমি ভাষণ পড়ে দিচ্ছি। এরপর উনি ওনার ভাষণ পড়েন। এর জন্য আমি ওনার কাছে যাচ্ছি ধন্যবাদ জানাতে। সব রাজ্যেই বিক্ষোভ হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, রাজ্যপাল তাঁর ভাষণ পড়তে পারবেন না। খুবই দুঃখজনক। এ ঘণ্টা ধরে অভদ্রতা হয়েছে। হেরে গিয়েও লজ্জা নেই ওদের।’

উল্লেখ্য, এদিন বিক্ষোভের কারণে ভাষণ না পড়েই যখন রাজ্যপাল বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁকে বাধা দেন তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা। তাঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যপালকে ঘিরে রাখেন, যাতে উনি না যেতে পারেন বিধানসভা ছেড়ে। তৃণমূলের মহিলা বিধায়করাও পাল্টা স্নোগান দিতে থাকেন। সে সময় ভাষণ না পড়েই, বসে পড়েন রাজ্যপাল। 

অবশেষে বেলা ৩.০৭ মিনিটে রাজ্যপাল বিধানসভা কক্ষ ছাড়েন। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে হাতজোড় করে প্রণাম করতেও দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘এটা বিজেপির পরিকল্পিত বিক্ষোভ।’