রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

বর্ষশেষে বাংলায় কোভিড আতঙ্ক! সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি রাজ্যের, কী কী?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ০১:৫৮ এএম

বর্ষশেষে বাংলায় কোভিড আতঙ্ক! সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি রাজ্যের, কী কী?
বর্ষশেষে বাংলায় কোভিড আতঙ্ক! সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি রাজ্যের, কী কী?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই বর্ষবরণ, তাই স্বাভাবিকভাবেই চারদিকে উৎসবের আবহ। কিন্তু এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। ইতিমধ্যেই চিনে ভয়াবহ রূপ নিয়ে এই ভাইরাস। চিনে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কোভিড-১৯। ফের একবার গোটা বিশ্বে ছেয়েছে করোনা আতঙ্ক। ভারতেও ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে আতঙ্ক সৃষ্টি করা করোনার নয়া ভ্যারিয়্যান্ট BF.7।

ভারতেও ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে করোনার এই নয়া প্রজাতি। এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রতিটি রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এদিকে, এই অবস্থায় লকডাউনের আতঙ্কে ভুগছে সাধারণ মানুষ। এর ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। বাংলার প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যদিও এই মুহূর্তে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুবই নগণ্য। কিন্তু তাও সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় আগাম সব ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। বুধবারই নবান্নে করোনা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বুধবার নবান্নে বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক,সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ আরও অনেকে। এদিনের বৈঠকে পাঁচ দফা গাইডলাইন চালু করেছে রাজ্য সরকার।

এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী কী নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ১) যে হাসপাতালে পরিকাঠামো নেই, সেখানে কোভিড ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে নতুন করে। প্রয়োজন হলে এক্ষেত্রে পূর্ত দফতরের সাহায্য নিতে হবে। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেডের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ২) এর আগেও দেখা গিয়েছে যে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। তাই এর জন্য প্রতিটি হাসপাতালের প্রতিটি বেডে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করতে হবে। আশঙ্কাজনক এবং অতি আশঙ্কাজনক রোগীর কথা মাথায় রেখে, সবরকমের বেডের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। ৩) করোনা সংক্রমণ রোখার প্রথম শর্তই হল, দ্রুত করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে হবে। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই করতে হবে নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই জন্যই প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট মজুত রাখতে হবে বলেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে আরটিপিসিআর টেস্টের বন্দোবস্ত। ৪) এর পাশাপাশি প্রতিটি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠাতে হবে। ৫)  সংক্রমণ কমে যাওয়ায় বর্তমানে টিকাকরণের ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। এর জেরে ধুঁকছে রাজ্যের অনেক টিকাকরণ কেন্দ্র। তাই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ফের রাজ্যবাসীকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে হবে।