রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা! হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০১:০৭ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৭:১৪ পিএম

বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা! হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা! হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বরানগরে প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে এক ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। বরানগর বনহুগলিতে প্রতিবন্ধী হাসপাতালের হস্টেলে থাকতেন দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র, নাম প্রিয়রঞ্জন সিং। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হস্টেল থেকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এর সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয় বলেই তাঁর বন্ধুদের দাবি। এরপরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে চত্বরে।

এদিকে, ছাত্রদের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে কোনও এমার্জেন্সির ব্যবস্থা নেই। সেই সঙ্গে নেই ন্যূনতম পরিষেবাও। সেই কারণেই সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই হারাতে হয় তাঁদের বন্ধুকে। ছাত্রের মৃত্যুতে মঙ্গলবার হাসপাতালের গেট বন্ধ রেখে পরিষেবা কার্যত অচল করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান ছাত্র-ছাত্রীরা। বরানগর থানার পুলিশ খবর পাওয়ার পরেও দেরিতে আসে বলে অভিযোগ তুলে, পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।

জানা গিয়েছে, বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের ডাক্তারির মৃত ছাত্র প্রিয়রঞ্জন সিং আদতে বিহারের গয়ার বাসিন্দা। তাঁর এক বন্ধু জানিয়েছেন যে, ‘সোমবার রাত ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রিয়রঞ্জনকে ওর এক রুমমেট ফোন করে। কিন্তু ও সেই ফোন ধরেনি। প্রায় ১২টা অবধি ফোন করে যান রুমমেট। এরপরই হস্টেল রুমের দরজায় গিয়ে টোকা মারেন। বারবার ধাক্কা দিলেও কেউ খোলেনি। এরপরই ঘুরে গিয়ে জানলা দিয়ে দেখেন ঘর অন্ধকার। ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বেলে দেখেন কিছু একটা ঝুলছে। এরপরই সকলে দরজা ভেঙে ১২টা ১০ নাগাদ উদ্ধার করা হয় প্রিয়রঞ্জনকে। তখনও প্রাণ ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে অক্সিজেন পর্যন্ত ছিল না। হাসপাতালে এমন অবস্থা হতে পারে? অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পর্যন্ত নেই। আমি পাঁচ বছর ধরে এখানকার ছাত্র। আমরা বহুবার বলেছি।’

এরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতাল চত্বর। পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অবস্থানে বসেন পড়ুয়ারা। হাসপাতালের ডিরেক্টর পি পি মোহান্তি বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত করব। এটা সত্যি আমাদের হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স নেই। তবে, পরিষেবা যথোপযুক্ত রয়েছে। আমি স্বীকার করছি বড় ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি চাই হাসপাতালের এই ডাক্তারি পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। সমাধান আমি বের করব। তবে তদন্ত করে দেখব কেন এমন ঘটনা ঘটল।’