রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

ফের টেট দেওয়ার যোগ্যতা শিথিল করা হল, উপকৃত হবেন অনেকেই

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ১১:৪০ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০৫:৫০ এএম

ফের টেট দেওয়ার যোগ্যতা শিথিল করা হল, উপকৃত হবেন অনেকেই
ফের টেট দেওয়ার যোগ্যতা শিথিল করা হল, উপকৃত হবেন অনেকেই/ প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবার একবার টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা শিথিল করা হল। অনগ্রসর জাটি ও উপজাতির সম্প্রদায়ভুক্ত পরীক্ষার্থীরা স্নাতকে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই এই পরীক্ষায় বসতে পারবে। এর পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেও তাঁরা টেট দেওয়ার জন্য যোগ্য হবেন। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন বা প্রাথমিক পর্ষদ এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে এসসি, এসটি, ওবিসি, ফিজিকালি হ্যান্ডিক্যাপ্ড ক্যাটাগরিতে যারা টেট পরীক্ষা দেবেন তাঁদের জন্য উক্ত ছাড়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ আইন অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তাছাড়া টেট পাশ করলে তারপরই নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণও থাকতে হবে। উল্লেখ্য, বুধবার অর্থাৎ গতকালই পর্ষদ জানিয়েছিল যে, যাঁরা প্রশিক্ষণের কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তাঁরাও টেট দিতে পারবেন।

কালীপুজোর আগেই আবেদন পর্ব শুরু হয়ে যাচ্ছে টেট পরীক্ষার জন্য। পর্ষদের ওয়েবসাইটে চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে শুরু হবে আবেদন করার প্রক্রিয়া। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে টেট পাশ করেছেন তাঁরাও এবার আবেদন করতে পারবেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশ নেওয়ার জন্য পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ইতিমধ্যেই বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকেই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছিলেন যে, ‘আমি অনুরোধ করছি সবাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিন। আমি খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেব। পরবর্তী বছরেও ২ বার নিয়োগ করব। আমি সরকার এবং মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষা দফতর অত্যন্ত সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে।’

অন্যদিকে, যদিও আন্দোলনকারীরা এই বিষয়ে নিজেদের মোট ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। অচিন্ত্যপ্রসাদ সামন্ত নামে এক প্রার্থী এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনেই জানিয়েছেন যে, ২০১৪ সালের প্রার্থী তাঁরা। দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। একটা ইন্টারভিউ দেওয়ার প্রসেসও চলছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে তারপর অন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া যেন শুরু করা হয়, এমনটাই চান তিনি। কারণ তিনি আশঙ্কা করছেন যে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে, তাঁরা বঞ্চিত হতে পারেন।